সমবায় সমিতির টাকা হাতিয়ে সপরিবারে উধাও ম্যানেজার। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ার আনোয়ারবেড়িয়ার ঘটনা। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে টাকা ফেরত পেতে পুলিশের দ্বারস্থ প্রতারিতরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আনোয়ারবেড়িয়ার সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিটি চালাচ্ছিলেন রবিউল হক নাম এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেরাও সমবায় সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গ্রামের প্রায় শতাধিক গ্রাহক এই সমবায় সমিতিতে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিট করে টাকা জমা রেখেছিলেন। গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
অভিযোগ, বছর দুই আগে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে তালা ঝুলিয়ে ম্যানেজার রবিউল হক এবং তাঁর পরিবারের লোকজন উধাও হয়ে যায়। তবুও গ্রাহকরা আশায় ছিলেন, রবিউল হয়তো ফিরে আসবেন। ২ বছর ঘুরলে, প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে, সোমবার গ্রাহকরা একজোট হয়ে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রের খবর, জেলার সর্বত্র সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন না হওয়ায় বোর্ডও গঠন হয়নি। আনোয়ারবেড়িয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিও তাঁর মধ্যে একটি। সমবায় সমিতিগুলির গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি না হওয়াকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা হয়েছে বলেই দাবি গ্রাহকদের।
প্রতারিত এক গ্রাহক জানান, ‘টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি আমরা জেনেছি, সমবায় সমিতির ম্যানেজার রবিউল হক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে বাড়ি বন্দক দিয়ে টাকাপয়সা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এরপরই প্রতারিত হয়েছি বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে জেলা কো-অপারেটিভ সোসাইটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, ‘সমবায়ের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’