• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মমতার বিকল্প তিস্তা জলপ্রকল্প মান্যতা পেল কেন্দ্রের কাছে

রাজ্যের স্বার্থে আঘাত করে তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত মমতার বাধাতের থেমে রয়েছে তিস্তা চুক্তি। এই নিয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আক্ষেপ করে জানিয়েছেন- ‘পানি পেলাম না মমতার কাছে’। শুধু হাসিনা কেন, মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্বে এই রাজ্যকে এড়িয়ে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে হালে পানি পেল না কেন্দ্রীয় সরকারও। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত

মমতার বিকল্প তিস্তা জলপ্রকল্প মান্যতা পেল কেন্দ্রের কাছে

রাজ্যের স্বার্থে আঘাত করে তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত মমতার বাধাতের থেমে রয়েছে তিস্তা চুক্তি। এই নিয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আক্ষেপ করে জানিয়েছেন- ‘পানি পেলাম না মমতার কাছে’।
শুধু হাসিনা কেন, মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্বে এই রাজ্যকে এড়িয়ে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে হালে পানি পেল না কেন্দ্রীয় সরকারও। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত বিকল্প তিস্তস জলপ্রকল্পকেই মান্যতা দিতে হল।
এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে টিম তৈরি করল কেন্দ্রীয় সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, তিস্তার জল দিলে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা শুকিয়ে যাবে। তার তিস্তার পরিবর্তে তোর্সা-জলঢাকার জল বাংলাদেশে দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাবকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার একটি টিম তৈরি করেছে। এই টিমের প্রতিনিধিরা তোর্সা-জলঢাকার জল কিভাবে বাংলাদেশে দেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখবেন।
তবে তিস্তার জল না দিলেও এই রাজ্যের পক্ষথেকে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। সেকথা স্বীকার করেছেন স্বয়ং হাসিনাও। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচক ইস্যুতে তিস্তার জল একটা সংবেদনশীল ইস্যু।
বৃহস্পতিবার সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি বলেন, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প বাম আমলে শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার প্রকৃত রক্ষণাবেক্ষন করা হয়নি। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই তিস্তা ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্ষা ছাড়া অন্যান্য সময়ে তিস্তার জল কমে যায়। আবার বর্ষা কালে এই জলই বন্যা তৈরি করে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তার তিস্তা ব্যারেজের জল সংলগ্ন সেচ সেবিত অঞ্চল যাতে দেওয়া হয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ চলছে।
কেন্দ্রীয় সরকার তোর্সা বা জলঢাকার জল বাংলাদেশে পাঠালে তা বৈদেশিক সিদ্ধান্ত। তবে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার বুঝে গিয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না চাইলে বাংলাদেশকে তিস্তার জল দেওয়া যাবে না।