• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

যােগীর রাজ্য থেকেও আবেদন এল বাংলায় মমতার স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড 

ফের বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চাহিদার শীর্ষে তার নবতম প্রকল্প 'স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড'।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

ফের বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চাহিদার শীর্ষে তার নবতম প্রকল্প ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’। দরিদ্র, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশােনা, জ্ঞানার্জনের পথ আরও মসৃণ করে মুখ্যমন্ত্রী এই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের কথা ভেবেছেন এবং তা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। 

আর তার পরপরই দেখা গেল, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্য থেকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদন জানিয়েছে প্রচুর পড়ুয়া। আবেদন যাচাইয়ের পরই তারা ঋণ পাবেন, এমনই খবর সরকারি সূত্রে। 

উচ্চশিক্ষায় কোনওভাবেই আর বাধা হবে না দারিদ্র্যতা। ছাত্রসমাজকে এগিয়ে দিতে এমনই সংকল্প নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। তাই তার ভাবনায় এসেছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা। এই কার্ডে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাবে পড়ুয়ারা। পরে উপার্জনক্ষমতা হলে সেই ঋণ শােধ করে দেওয়া যাবে। 

মাধ্যমিক থেকে পােস্ট ডক্টরেট সর্বত্র পর্যন্ত পড়াশােনার বিভিন্ন ধাপে এই আর্থিক সুবিধা পাবে পড়ুয়ারা। উচ্চশিক্ষা দফতর নির্দেশিকায় এও জানিয়েছে, শুধু প্রথাগত পড়াশােনাই নয়, কেউ আইপিএস, ডবিপিএস-এর মতাে প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কোচিং নিতে গেলেও স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। 

এই প্রকল্প জনপ্রিয়তা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য থেকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য ১২ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে শুধু কর্ণাটক থেকে এসেছে ৭৫০০-র বেশি আবেদন। এছাড়া ওড়িশা থেকে ৯০০, তেলেঙ্গানা থেকে ৩০০, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৬০০, মহারাষ্ট্র থেকে ৩৫০, উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩৩০, দিল্লি থেকে ২০০ ও তামিলনাড়ু থেকে ২৮০ জনেরও বেশি পড়য়া আবেদন করেছেন বাংলার এই সুবিধা পেতে। 

এছাড়া আবেদন এসেছে মােদি-যােগীর রাজ্য গুজরাত ও উত্তর প্রদেশ থেকে। জম্মু কাশ্মীর, অরুণাচল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব রাজ্য থেকে আবেদন এসেছে।