• facebook
  • twitter
Thursday, 3 October, 2024

মমতার মাস্টারস্ট্রোক চলতি বছরেই আবাসের প্রথম কিস্তির অর্থ দেবে সরকার

রাজ্য সরকার কৌশলগতভাবে বাড়তি অর্থের দায় দু'টি আর্থিক বছরের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের বাজেট থেকে অর্ধেক টাকা বরাদ্দ করা হবে।

পাখির চোখ ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মাস্টারস্ট্রোক মমতা-অভিষেকের। চলতি বছরেই ১১ লক্ষ পরিবার পাবে আবাসের প্রথম কিস্তির অর্থ। শাসকদল তৃণমূলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কেন্দ্রের আবাস যোজনা খাতে বাংলার প্রাপ্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছে মোদী সরকার। সেই মতো চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনী প্রচার থেকে আবাস যোজনার টাকা সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, আবাসের টাকা দেবে রাজ্যই। এবার তাতেই সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

৩টি কিস্তিতে দেওয়া হবে আবাসের সম্পূর্ণ টাকা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে সাড়ে ১১ লক্ষ পরিবারকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে। পরের কিস্তিতে দেওয়া হবে ৪০ হাজার টাকা। আর শেষ কিস্তিতে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা। আপাতত এই প্রকল্পের নামকরণ হয়েছে ‘বাংলার আবাস যোজনা’। তবে পরবর্তীতে নামের বদলও হতে পারে। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের আওতায় সমতলের পরিবারগুলিকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং প্রত্যন্ত এলাকার পরিবারের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবারের বৈঠকে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তথা এসওপি ঠিক করা হয়েছে তা রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হবে। তার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন-বৈঠকে নির্ধারিত গাইডলাইন অনুযায়ী, যাঁদের তিন বা চার চাকার গাড়ি, তিন বা চার চাকার কৃষিজ যন্ত্র রয়েছে, মাসিক আয় ১৫ হাজারের বেশি এবং আয়করের অধীনে থাকা পরিবারগুলি এই প্রকল্পের আওতায় আসবে না। পাশাপাশি যাঁদের আড়াই একর বা তার বেশি সেচযুক্ত কৃষি জমি আছে এবং যাঁদের ৫ একর অসেচযুক্ত কৃষিজমি রয়েছে, তাঁরাও এই সুবিধা পাবেন না।
এখন প্রশ্ন হল, রাজ্যের কোষাগারে টান পড়বে না তো? নবান্ন সূত্রের মতে, রাজ্য সরকার কৌশলগতভাবে বাড়তি অর্থের দায় দু’টি আর্থিক বছরের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের বাজেট থেকে অর্ধেক টাকা বরাদ্দ করা হবে। বাকি টাকা বরাদ্দ করা হবে আগামী আর্থিক বছরের বাজেট থেকে। ফলে রাজ্যের কোষাগারের বাড়তি আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।