শিল্প বিনিয়োগে বিরোধীরা বারবার যখন রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলেছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় রাজ্য ক্রমশ শিল্প বান্ধব হয়ে উঠেছে। মহিলা উদ্যোগপতির নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যে ৯০ লক্ষ এমএসএমই তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। সেই এমএসএমএসই গুলিতে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। আবার এই ৯০ লক্ষ এমএসএমই-র মধ্যে মহিলা উদ্যোগপতিদের সংখ্যায় দেশের মধ্যে সেরা বাংলা।
তবে রাজ্য সরকার এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয়। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের আরও উৎসাহী করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন বিভাগ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ‘শিল্পের সমাধান’ নামক একটি শিবির চালু করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই শিবিরের রাজ্যের মূল লক্ষ্য, নিবিড় কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী হিসেবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহিত করা। সেজন্য গ্রামীণ এলাকাগুলির পাশাপাশি পুর এলাকাগুলিতেও শিল্পের সমাধান শিবির খোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ‘শিল্পের সমাধান’ নামক এই শিবির শুরু হবে আগামী ২ ডিসেম্বর, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিবিরগুলির পরিকল্পনা সফল করতে রাজ্য সরকার ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী হিসেবে বেকার ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করা এই প্রচারের অন্যতম উদ্দেশ্য।
এই শিবির শুরু হচ্ছে আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার এমএসএমই-কে একটি জাদুদন্ড বলে মনে করছে। সেজন্য এটির আরও ব্যাপক ব্যবহার করতে চাইছে নবান্ন। এই সেক্টরকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই এই শিল্পোদ্যোগীদের সমস্যার সমাধানে জেলায় জেলায় শিবিরের পরিকল্পনা নিয়েছে। শিবিরের মূল উদ্দেশ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করা। উদ্যোগপতিদের শিল্প সচেতন করে তুলতে বিশেষ পাঠ দেওয়া হবে। বিশেষ করে মহিলাদের। মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলতে আরও বেশি করে মহিলাদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে সরকার।
প্রসঙ্গত রাজ্য সরকার এই শিল্পোদ্যোগীদের আর্থিক সহায়তায় ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে। যার উদ্দেশ্য বেকারদের ব্যবসায়ে উৎসাহিত করা। সেজন্য এই কার্ডের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য ঋণ নিলে তার সুদে ভর্তুকি দেবে সরকার। এছাড়া সরকার আর কী কী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা শিবিরে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ ও সরকারি ছাড়পত্র নিয়ে যাতে হয়রানি হতে না হয়, সেই বিষয়েও গাইড করা হবে শিবির থেকে।