হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছে সিআইডি। ঘটনায় সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। সোমবার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ। তারপরই এই মৃত্যুকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। উত্তরবঙ্গে বন্ধ ডাকে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের এক প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন এই মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে। দিল্লিতেও বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়র্গীয়র কাছে যায় রাজ্য বিজেপির আরেকটি প্রতিনিধি দল। বিজেপি এই হত্যার ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এমনকী মৃত দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ময়না তদন্তকে সাজানো বলে দাবি করেছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ওই বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর তদন্ত চান বলে ঘোষণা করেন।
এই পরিস্থিতিরই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ব্যক্তিগত টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাদের কারণেই এই মৃত্যু ঘটেছে।
প্রয়াত বিধায়ক যে ক্রেডিট সোসাইটির সেক্রেটারি ছিলেন, সেখানকার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার হিসেবে গরমিল রয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্যও প্রমাণসহ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিয়ে উল্লেখ করেছেন মমতা। চিঠিতে তৃণমূল নেত্রী উল্লেখ করেছেন আমরা সব দলের বিধায়ককে সম্মান করি।
দেবেন্দ্রনাথবাবু সিপিএম-এর টিকিটে বিধায়ক হিসেবে জয়ী হন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক আপনাকে সঠিক তথ্য দেয়নি বলেও জানিয়ে দেন মমতা। তবে মৃত বিধায়কের মৃত্যুর তদন্ত করবে পুলিশ। রাষ্ট্রপতির চিঠিতে মমতার আশ্বাস, এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না। একেবারেই নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। রাজ্য সেদিকে কড়া নজর রাখছে।