আজ গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে গঙ্গাসাগরে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই বাংলাদেশ থেকে ফেরা ৯৫ জন মৎস্যজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। পাশাপাশি এদিন একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন মমতা।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হচ্ছে। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই মেলায় কয়েক লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলেই মনে করছে প্রশাসন। মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মেলার ভিড়কে কাজে লাগিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জেরে নদীপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এই আবহে মেলা শুরুর আগেই সাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ১২টি থ্রু ট্রেন চালাবে শিয়ালদহ ডিভিশন। শিয়ালদহ, কলকাতা, নামখানা ও কাকদ্বীপ থেকে বিভিন্ন দিকে এই ট্রেনগুলি চলবে। ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ট্রেনগুলির পাশাপাশি আরও তিনটি ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। ১২টি ট্রেনের মধ্যে তিনটি কলকাতা থেকে, ২টি নামখানা থেকে, ৫টি লক্ষ্মীকান্তপুর ও কাকদ্বীপ থেকে একটি করে এই বিশেষ গ্যালপিং ট্রেন চলবে। টিকিট কাটতে গিয়ে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তাই নামখানাতে বাড়তি দুটি কাউন্টার খোলা হবে। এছাড়াও থাকবে পাঁচটি বাড়তি মোবাইল ইউটিএস।
কাকদ্বীপ ও নামখানার ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে দ্রুত ফেরাতে তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই তাঁরা ভারতে ফিরেছেন। সোমবার এই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সোমবার মমতা গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড ময়দানের পাশে পুণ্যার্থীদের জন্য ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের কয়েকটি রাস্তা, কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ১০০ শয্যার হস্টেল, পাথরপ্রতিমায় জেটি-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।