২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠন আরও মজবুত করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের এই নির্বাচন রাজ্যের শাসকদলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ২৬ বা ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন মমতা। এই বৈঠকেই ২০২৬ সালের নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
প্রতি বছরই শুরুর দিকে এধরনের সাংগঠনিক সভা ডাকেন তৃণমূল নেত্রী। এই সভা থেকে দলীয় কর্মীদের কর্তব্য, নীতি ও কর্মসূচি নিয়ে একাধিক বার্তা দেন মমতা। সেই মতো এই বৈঠকেও দলের নিচু তলার নেতৃত্ব থেকে শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি একাধিক বার্তা দিতে পারেন। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে প্রস্তুতি সম্পর্কে একাধিক নির্দেশ দিতে পারেন তিনি।
নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগে থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম আরও জোরদার করা হয়েছে। যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প সরাসরি নাগরিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সেগুলির উপর নজর রাখছেন খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনিক বৈঠক করে কাজকর্ম সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এছাড়াও মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে একাধিক নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে প্রশাসনের প্রতি যাতে সাধারণ মানুষের একেবারেই ক্ষোভ না থাকে তাই জন্যই মুখ্যমন্ত্রী নিজে সব কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু শুধু প্রশাসনের কাজকর্ম ঠিক থাকলেই ভোটে জেতা সম্ভবন নয় তা খুব ভালো মতোই জানেন মমতা। এই কারণে সংগঠনকে মজবুত করতে পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে দলীয় নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।
এই বৈঠক থেকে গোটা বছরের কর্মসূচি স্থির করে দিতে পারেন মমতা। নির্বাচনের আগে ময়দানে নেমে জনগণের সেবার বার্তা দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি জনসম্পর্কে আরও বেশি করে জোর দেওয়ার নির্দেশ আসতে পারে। সেক্ষেত্রে নেতা–কর্মীদের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলি। এই বৈঠক থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আর কী বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দলের নেতা কর্মীরা।
