আজ ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা

বর্ধমান, ২৪ জানুয়ারি: আজ বর্ধমানের নবাবহাটে একটি জনসভায় ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগের একের পর এক জবাব দিলেন। এদিন তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তোপ দাগেন রাজ্যের বিজেপি ও বামপন্থীদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ের সমাধানে আদালতের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৬০ থেকে ৭০ হাজার ছেলেমেয়ে স্কুলে চাকরি পেত। মামলা করে সেই চাকরি আটকে রেখেছে রাম-বাম। আদালতের কাছে আর্জি শূন্যপদ গুলি দ্রুত পূরণ করার ব্যবস্থা করুন।”

প্রসঙ্গত বর্ধমানের গোদা ময়দানে পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, প্রদীপ মজুমদার, মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা থেকে শুরু করে একাধিক দপ্তরের সচিবরাও।

এদিন রাজ্যবাসীর কল্যাণে বেশ কিছু সরকারি উদ্যোগের ঘোষণা করেন। ঘোষণা করেন বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রী ও লক্ষ্মী ভান্ডারের বিষয়েও। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,”অনেকে বলে আমরা নাকি কোনও কাজ করি না! আমাদের মতো সমাজসেবা আর কেউ করেনি। কন্যাশ্রী প্রকল্পে আরও ১০ লক্ষ সংযুক্ত হবে। আরও ১ লক্ষ ৪ হাজার মহিলাকে বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আরও ১৩ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। বার্ধক্য ভাতা পাবেন রাজ্যের আরও ৯ লক্ষ মানুষ।”


এরপর মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে ফের সাঁড়াশি আক্রমণ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের নিষ্ক্রিয়তার জন্য মোদী সরকারকে ঠুঁটো জগন্নাথের সঙ্গে তুলনা করেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, নেতাজির জন্মদিনে সরকারি ছুটির দাবি, নাম না করে রামমন্দির উদ্বোধনে সরকারি ছুটির প্রসঙ্গেও ইঙ্গিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্ম নিয়ে কেন্দ্রের মাতামাতির অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”রাজনৈতিকভাবে ঠুঁটো জগন্নাথ কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। ধর্মের নামে ছুটি দাও, নেতাজির জন্মদিবসে ছুটি নেই কেন?”

এদিন মমতার প্রশাসনিক সভায় হাজির হন নবাবহাটের স্থানীয় জনতা। তাঁরা মমতার সঙ্গে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রে বিজেপির বিরোধিতায় সায় দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরাও বলেন, “গেরুয়া রং করলে তবেই ১০০ দিনের টাকা দেবে বলছে কেন্দ্র। কিন্তু আমরা গেরুয়া রং করব না।”