শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘােষণার পর ফের বিধান পরিষদ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বয়স বা অসুস্থতার কারণে যেসব বিধায়ক বাদ পড়লেন, তাদেরকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বিধান পরিষদে। সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ধাঁচে তৈরি বিধান পরিষদেও বিধানসভার মতাে নির্বাচিত হতে হয়।
তবে সেখানে সাধারণ নাগরিকরা ভােট দেন না। ভােট দেন সমাজের বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত মানুষ, পঞ্চায়েতপুরসভার মতাে স্থানীয় প্রশাসনের জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধায়করা। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, বিহার ইত্যাদি ছ’টি রাজ্যে এখনও বিধান পরিষদ রয়েছে।
Advertisement
অন্ধ্রপ্রদেশে গত বছর বিধান পরিষদ অবলুপ্তির প্রস্তাব পাশ হলেও তা এখনও সংসদের ছাড়পত্র পায়নি। রাজ্যে বিধান পরিষদ গড়তে গেলে সংসদে সংবিধান সংশােধনী বিল পাশ করাতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার পাশাপাশি সংসদের দুই কক্ষেও দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিল পাস করাতে হয়।
Advertisement
উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে এক সময় বিধান পরিষদ ছিল। যুক্তফ্রন্টের সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার অবলুপ্তি ঘটে। বাংলা কংগ্রেস এবং বামেদের নিয়ে গড়া যুক্তফ্রন্ট সরকারে পাঠানাে বিধান পরিষদ অবলুপ্তির প্রস্তাবে সিলমােহর দিয়েছিল ষাটের দশকের সংসদ।
প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বিধান পরিষদ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিল পাশের জন্য সংসদের দুই তৃতীয়াংস সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সেই বিল পাশ করা যায়নি। আবারও মমতা ছয় দশক আগের সেই বিধান পরিষদ গড়ে তােলার আশ্বাস দিলেন প্রার্থী তালিকা ঘােষণার পরে।
Advertisement



