বিএসএফ এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি ইস্যুতে এবার সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। দুই দিনাজপুর মালদহ, মুর্শিদাবাদের পরে নদীয়ার জেলা প্রশাসনকেও বিএসএফ-এর নজরদারির সীমানা নিয়ে সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাই বিএসএফ যেন এলাকায় ঢুকে কোনও গোলযোগ সৃষ্টি করতে না পারে। সেইসঙ্গে বিএসএফ-এর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতেও নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করিমপুরসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। বিডিও এসডিও সকলকেই জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানিয়ে দিলেন সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার হলে মেনে নেব না সদ্যসমাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর সফরে সবক’টি সীমান্তবর্তী জেলাই ছুঁয়ে গিয়েছেন তিনি। শুধু আন্তর্জাতিক সীমান্তই নয়, পড়শি রাজ্যের সীমান্ত জেলাতেও গিয়েছেন এবং প্রশাসনকে বিএসএফ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর ধারাবাহিক এই বক্তব্যকে বিভাজন তৈরির চেষ্টা বলে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার।
লিখেছেন যিনি সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছেন, তিনিই সংবিধান স্বীকৃত বাহিনীকে অপমান করছেন। যাঁরা দেশকে নিরাপত্তা দেয়, সেই বিএসএফ এর সঙ্গে পুলিশের দায়িত্বের বিভাজন তৈরি করছেন। রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির বিষয়টি দেখা উচিত বলেও টুইটে লিখেছেন বিরোধী দলনেতা।