হরিয়ানায় কাজ করতে গিয়ে গণপিটুনির বলি হয়েছেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। এবার সেই মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের দিকে বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত। পিছিয়ে রইলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। মৃত শ্রমিকের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
পাশাপাশি তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ৩ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করেছেন অভিষেক। মৃত শ্রমিক সাবির মল্লিকের অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পরিবারের হাতে রবিবার ৩ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হলো ‘এক ডাকে অভিষেক’ -এর তরফ থেকে। কুণাল এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় পরিকল্পিত গণপিটুনিতে নিহত বাংলার শ্রমিক সাবির মল্লিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে পরিবারকে। মুখ্যমন্ত্রী খবর রেখেছেন, যা যা করণীয় করছেন। প্রতিনিধিও পাঠান।” প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক ও দলীয় স্তরে শুরু থেকেই মৃত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম সহ এক প্রতিনিধি দল গিয়েছিল বাসন্তীতে সাবিরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। সামিরুল রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের দায়িত্বেও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গোমাংস ভক্ষণের সন্দেহে হরিয়ানায় পিটিয়ে খুন করা হয় বাংলার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিককে। শ্রমিক খুনের ঘটনায় হরিয়ানার চরখি দাদরি জেলার পুলিশ এক নাবালক সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ইতিমধ্যেই। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, বধরার একটি বস্তিতে থাকতেন তিনি এবং পেটের তাগিদে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার গোমাংস ভক্ষণের সন্দেহে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। পরদিন অর্থাৎ বুধবার বধরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমেই পর পর একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি ঘটনার নিন্দা করেছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন সামিরুল। এবার কুণাল জানালেন, সাবিরের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে পিছিয়ে রইলেন তৃণমূল সেনাপতিও। তিনিও এগিয়ে এসে অর্থ সাহায্য করলেন পরিবারকে।