• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দুর্গাপুজো করমুক্ত করার দাবি মমতার, রাস্তায় নামছে তৃণমূল

পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর দফতরের নােটিশ দেওয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে তৃণমূল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর দফতরের নােটিশ দেওয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে তৃণমূল। রবিবার এ বিষয়ে তিনটি টুইট করে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির ওপর আয়কর বিভাগ যে নজরদারি করছে তার বিরুদ্ধে তােপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

টুইটে তিনি জানিয়েছেন তৃণমূলের বঙ্গজননী ব্রিগেড আগামী ১৩ আগস্ট সুবােধ মল্লিক স্কোয়ারে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন এই উৎসব সবার। তাই আমরা চাই না যে এটি করের আওতায় আসুক। তাহলে পুজো উদ্যোক্তাদের নানান বাধার সম্মুখীন হতে হবে।

আগে গঙ্গাসাগর মেলার রাজ্যসরকার কর আদায় করত। কিন্তু আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি। পাশাপাশি করমুক্ত দুর্গাপুজোর দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাসে কলকাতায় প্রায় চল্লিশটি পুজো কমিটিকে ডেকে আয়কর দফতরের কর্তারা বলেন, এবছরের দুর্গাপুজো থেকে তিরিশ হাজার টাকার উর্ধ্বে যে সমস্ত পাওনা মেটানাে হবে সেক্ষেত্রে কেটে নিতে হবে টিডিএস এবং সেই টাকা আয়কর দফতরে জমা দিতে হবে।

গত জানুয়ারি মাসে যেদিন দুর্গাপুজো কমিটিণ্ডলিকে এই কথা বলা হয় ইনকাম ট্যাক্সে তরফে সেইদিনই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুজো কমিটির থেকে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন চাওয়া হচ্ছে। ক্লাবণ্ডলির গায়ে হাত লাগলে ছেড়ে কথা বলব না, আমি সব ক্লাবগুলিকে বলে দেব, ইনকাম ট্যান্সের তরফে ডাকা হলে একদম যাবেন না।

কলকাতার অনেক প্রসিদ্ধ দুর্গাপুজোগুলি যা তৃণমূল নেতাদের পুজো বলেই পরিচিত। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতেই দলকে নামাচ্ছেন নেত্রী। দুর্গাপুজোয় কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু তাতে সরকারের কোষাগারে কিছু আসে না। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য সমস্ত লেনদেনকে করের আওতাভুক্ত করা। তাছাড়া কলকাতার বহু পুজোকে একটা সময়ে চিটফান্ডের টাকা ঢুকতাে। সেগুলিকে আতস কাজের নিচে রাখতে চাইছে আয়কর দফতর।

লােকসভা নির্বাচনের পর সাংবাদিক বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আরএসএস মােকাবিলায় যুবদের নিয়ে তৈরি হবে আজাদ হিন্দ ব্রিগেড এবং মহিলাদের নিয়ে তৈরি হবে বঙ্গ জননী বাহিনী। আর এবার পুজোকে আয়কর বিভাগের হাত থেকে রফা করতে তাঁদেরকেই রাস্তায় নামাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।