বিজেপিকে দেশছাড়া করার ডাক মমতার

৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে নির্বাচন। তার আগে বুধবার একবালপুরে নির্বাচনী সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার ডাক দিলেন তিনি। বলেন, আপনাদের একটা ভােট দিল্লির দিকে এগিয়ে দেবে আমাদের। আপাতত লক্ষ্য উপনির্বাচন।

ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। পূর্বসুচি অনুযায়ী বুধবার একবালপুরে নির্বাচনী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক দাপুটে তৃণমূল নেতা। এদিন সভার শুরুতেই কোভিড় থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা, একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে কার্যত তুলােধােনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলেন ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতারা গেলেই মারধর করা হচ্ছে কোনও কর্মসুচির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল যাচেছ জানতে পারলেই ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমাে হুংকার ছাড়েন, তােমারে বধিবে যে গােকুলে বাড়িছে সে। অর্থাৎ বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার ডাক হুশিয়ারি দেন তিনি। শুধু ত্রিপুরাই নয়, যােগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেও নির্বাচনী লড়াইর ইঙ্গিত দেন তিনি।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রত্যেককে ভােট দেওয়ার প্রামর্শ দেন। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবে ভেবে কেউ ভােট দিতে যাবেন না, তা করবেন না। প্রত্যেকে ভােট দিতে যাবেন। আপনাদের প্রত্যেকের ভােট প্রয়ােজন। নাহলে আমাকে আপনারা পাবেন না, অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন।’

রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির তলব নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা। প্রশ্ন তােলেন কেন রাজ্যের মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল তবে সব ষড়যন্ত্রকে ধুলিসাৎ করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা। ভবানীপুর ভােটেও উঠে এল সেই নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ।

ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে খিদিরপুরের এক সভায় মমতা বলেন, “আসলে নিয়তির ফের। আমার কপালে লেখা আছে, মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হব। আমার ঈশ্বর, আল্লার তাই ইচ্ছে। এর আগে দু’বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে লড়েছি। প্রত্যেকবারই আপনাদের ভােটই আমাকে জিতিয়েছে।’

ভবানীপুরের নির্বাচনী কেন্দ্রের মমতার আবেদন, ‘আপনাদের প্রত্যেকটা ভােট গুরুত্বপূর্ণ। একটা ভােট না পেলেও আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকে ভাবছেন, বৃষ্টির মধ্যে ভােট দিতে যাব কেন? কিন্তু দোহাই , ওই কাজটি করবেন না। আপনাদের প্রতিটি ভােট আমার দরকার। ভােট না দিলে আমাকে পাবেন না। আমি না জিতলে তৃণমূলেরই মুখ্যমন্ত্রী হবে, অন্য কেউ হবে, আমি নয়।’

আসলে মমতা এভাবেই ভবানীপুর কেন্দ্রের আমজনতার ব্লছে আর্জি জানান এই ভােটকে যাতে তারা দায়ছাড়া বা হালকাভাবে না নেন। ভবানীপুর কেন্দ্রে ৪০ শতাংশ অবাঙালি ভােটার। তাদের মন ছোঁয়ার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমাের উদ্যোগের কোনও খামতি নেই।