• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

মাত্র ১৫ লক্ষ নিয়ে দেশের সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি– বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খুব জোর গলায় বলেন তিনি সৎ, জীবনে কখনও কারুর কাছ থেকে এক টাকা নিজের স্বার্থে নেননি৷ যদিও তাঁর কথার বিরুদ্ধে বিরোধীরা নানান টিপ্পনি কাটে৷ কিন্তু নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা দেখার পর বিরোধীদের মুখে কুলুপ এটে যাওয়ার কথা৷ কারণ রিপোর্ট বলছে

দিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি– বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খুব জোর গলায় বলেন তিনি সৎ, জীবনে কখনও কারুর কাছ থেকে এক টাকা নিজের স্বার্থে নেননি৷ যদিও তাঁর কথার বিরুদ্ধে বিরোধীরা নানান টিপ্পনি কাটে৷ কিন্তু নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা দেখার পর বিরোধীদের মুখে কুলুপ এটে যাওয়ার কথা৷ কারণ রিপোর্ট বলছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেশের সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী৷
২০২৩ সালে ভারতের সব মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর৷ তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের সবথেকে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি৷ স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা! যা ভারতের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীর সম্মিলিত সম্পদের থেকেও বেশি৷ আর ভারতের সবচেয়ে কম সম্পদ রয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর, তিনি আর কেউ নন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা৷ স্থাবর সম্পত্তি বলতে কিছু নেই তাঁর, সবটাই অস্থাবর সম্পত্তি৷
তিনিই আসলে ভারতের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর সম্পদ ১ কোটি টাকার নীচে৷ তাঁর সহজ সরল জীবন যাত্রা নিয়ে প্রচুর চর্চা হয়৷ বিদেশ সফরে গিয়েও কীভাবে শুধু মুডি় খেয়ে থেকে খরচ বাঁচান, সেই কাহিনিও সুপরিচিত৷ তাঁর সম্পত্তির ছবিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহজ-সরল জীবনযাত্রার ছবিটা স্পষ্ট৷ ‘দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী’র তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ সর্বশেষ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, সিপিআই(এম) নেতার সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি টাকা৷ আর ১ কোটি টাকার সামান্য বেশি সম্পত্তি নিয়ে দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর৷
অন্যদিকে, ধনী মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় খনি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত জগনমোহন রেড্ডির পরই আছেন, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমু খান্দু৷ তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬৩ কোটি টাকা৷ ওডি়শার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে রয়েছে ৬৩.৮৭ কোটি টাকার সম্পত্তি৷ তিনি আছে ধনীতমদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে৷ এরপর আছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও, সম্পত্তির পরিমাণ ৪৬ কোটি টাকা৷ পঞ্চম স্থানে আছেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী র সম্পদের মালিক এন রঙ্গস্বামী, তিনি ৩৮ কোটি টাকার মালিক৷ এছাড়া, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সম্পত্তি রয়েছে ১৭ কোটি টাকার, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ কোটি টাকা৷
এডিআর-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের মোট ২৯ জন ‘কোটিপতি’ মুখ্যমন্ত্রীর গড় সম্পদের পরিমাণ ৩৩.৯৬ কোটি টাকা৷এডিআর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ঋণ সবথেকে বেশি রয়েছে তেলঙ্গানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের৷ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৩.৫ কোটি টাকা, আর ঋণ ছিল প্রায় ৮.৮ কোটি টাকা৷ এই তালিকায় কেসিআর-এর পরই ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই৷ তাঁর সম্পদ ছিল ৮.৯২ কোটি টাকা, আর ঋণ ৪.৯ কোটি টাকা৷ তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে৷ মোট সম্পদ ১১.৬ কোটি টাকা এবং ঋণ রয়েছে ৩.৭৫ কোটি টাকার৷ তবে, ঋণ তালিকায় প্রথম দুজন এখন আর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে নেই৷