প্রত্যাশিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বাক্সে বসন্ত এল। উজার করে দুহাত ভরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিলেন আমজনতা। এর ফলে ১০৮টি পুরসভার মধ্যে তৃণমূল একাই সরাসরি ১০৩টি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতায় এল। ভোট শতাংশের নিরিখে বামেরা উঠে এলো দ্বিতীয় স্থানে। বিজেপি চলে গেল তৃতীয়তে। নির্দলের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে নজরকাড়া।
তবে সবচেয়ে বেশি চমক দিল পাহাড়ের নতুন দল ‘হামরো’ পার্টি। জিএনএলএফ দল ভেঙে মাস তিনেক আগে হামবো পার্টি তৈরি করেছিলেন অজয় এডওয়ার্ড। প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমেই চমকে দিলেন তিনি। দার্জিলিং পুরসভার ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ টি ওয়ার্ডে জিতে বোর্ড গঠনের পথে হামরো দল।
তৃণমূল জয়ী হয়েছে দু’টি আসনে। পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুং, বিনয় তামাং এবং অনীত থাপারের মতো হেভিওয়েট নেতাদের পিছনে ফেলে দিল ওয়ার্ডের দল। বিজেপির তিন হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী, যিনি বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও বটে, সেই তাঁর কাঁথি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর প্রার্থীকে নিজের ওয়ার্ডে হারতে হল।
ঠিক একই পথ ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হারলেন নিজের ওয়ার্ডে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে ভালো ফল করাতে ব্যর্থ হলেন।
যদিও দিলীপ বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত খড়্গপুরের বিষায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় নিজে জয়ী হলেন, সেই সঙ্গে খড়গপুরে ৬টি আসনে বিজেপিকে জয়ী করলেন।
এদিকে, ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর হিরণের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা অর্জুন সিংয়ের ভাটপাড়া পুরসভাও তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণে এল।
উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপি প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরির মুর্শিদাবাদেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। তাহেরপুর পুরসভা গিয়েছে বামেদের দখলে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা হুগলির চাপদানি, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছে।
আগামী দিনে এই তিন পুরসভার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রাজ্যের শাসক দলের অনুকুলে যায় কিনা, এখন সেটাই দেখার।
দু অধিকারীর প্রাণীকে ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ৩৬ টি পুরসভা কার্যত বিরোধীশুনা। ঘাসফুল শিবর সব থেকে বেশি সংখ্যক পুরসভা বিরোধীশূন্য করেছে উত্তর ২৪ পরগনায়।
বারাকপুর, নিউবাবাকপুর, উত্তর বারাকপুর, ভাটপাড়া সমদন হয়ড়া, কাঁচরাপাড় মালিশহর, নেহাটি, টিটাগড় এই ১০ টি পুরসভায় ঘোষণমূল জয়লাভ করেছে। উত্তর চল্লিশ পরগনার পর কোচবিহার এবং নদিয়া সবচেয়ে বেশি বিরোধীশূন্য। এই দুই জেলার পাঁচটি করে পুরসভাতে একটি ওয়ার্ডে বিরোধীরা জয়ী হতে পারেনি।
কোচবিহারের দিনহাটা, হলদিবাড়ি, এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের। জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙ্গা এবং চাকদহ, গনেশপুর, হরিণঘাটা, কল্যাণী ও নবদ্বীপের একটি ওয়ার্ডেও বিরোধীরা জয়ী হতে পারেনি।
বীরভূম অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বলেই পরিচিত। এখানে বোলপুর দুবরাজপুর সাঁইথিয়া এবং সিউড়ি এই চার পুরসভাতে শাসক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি করে পুরসভার সবকটি ভয়ানী হয়েছে তৃণমূল।
ঘাসফুল শিবির পূর্ব বর্ধমান ও বর্ধমানের নাই এসকরা বিরোধীশূন্য করেছে একই ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল রামজীবনপুর এবং চন্দ্রকোশার প্রতিটি ওয়ার্ডেই তৃণমূল জয়ী হয়েছে। সেই সাথে আলিপুরদুয়ারে ফালকাটা , পালি, তারকেশ্বর, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে শাসকাল আলাভ করে।
রাজের আমজনতাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মানুষের কাছে আরও কিনী হতে হবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিন ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো বাড়ি থেকে বেরিয়ে বারানসী যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। পরে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
যদিও বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জলাকে রীতিমতো কটাক্ষ করা হয়েছে। এই জয়ে মানুষের সঠিক রায় প্রতিফলিত হয়নি বলে বাম-কংগ্রেস ও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন এই ভোটের ফলাফলে মানুষের সঠিক রায় সামনে আসেনি। বিজেপির সাংগঠনিকভাবে কোন জানি। সিপিএম নেতা সুজন চর্তী বলেন, এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও ঝামেরা তাহেরপুরের ক্ষমতা রাখতে পেরেছে, তার জন্য তাদেরকে স্যালুট। ভোট হয়নি।
ফলে মানুষ হারেনি, ছায়া জিতেছে। অন্যদিকে কামেনের ভোটবান্ধে রণ আমার ক্ষণ মিলেছিল আগেই। বিজেপির ভোটব্যায় কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ফলাফল আশাকক না এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘বামেরা ফাইল করতে পেরেছে নমিনেশন কংগ্রেস ফাইল করতে পেরেছে, বিজেপি কেন পারছে না?
বিজেপির কোনও লোক নেই, সংগঠন নেই। কটা পাতাখোর , দেশাশের লোকদের দিয়ে ভোট হয় না। রাজনীতি একটা সংগঠন। বুতে সিপিএম ভোট পেয়েছে সব জায়গাতে। ওরা উনিশে যে ভুল করেছিল, সেটা সংশোধন করেছে। আবার কিন্তু ভোট পাচ্ছে। আমার এখনেও ভোট পেয়েছে।
সিপিআইএ জাগা কিন্তু আবার মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াে কারণ একটা সংগঠন আছে সিপিআইএম দলটা নরেন্দ্র মোদির মতো মিথ্যেবাদী দ এদিকে দার্জিলিং, তাহেরপুর, এগরা, কেলডাঙ, বালা ও চাপদানি এই দুটি পুরসভা সরাসরি দখল করতে ব্যর্থ হল তৃণমূল।
নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা দখল করেছে সিপিএম নার্জিলিং পুরসভা হোমারা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা-৮, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (মা ও মূলের মধ্যে) দখল করেছে হামারো পার্টি। চাপদানি পুরসভা (ভূপমূল ১১, নি, কংগ্রেস), ফারা পুরসভা (তৃণমূল ৬, বিজেপি ক্যংগ্রেস ১. নিদল ১৯ বেলা পুরসভা (তৃণমূল , বিজেপি ৩ , নির্দল 8) পুর (মুস- ২)।
ভোটে জোর পরই দু’জন নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ঝান। পুরসভা তৃণমূলের দখলে যাচ্ছে। পুরভোটের ভোটের শতাংশ ধরলে রাজ্যে পুরভোটের প্রাপ্ত ভোট শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। গতবার ভোটে আসন সংখ্যা শূন্যে বছরখানেকে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক।
এবারের পুরভোটে বামেদের প্রাপ্ত ভোটে ১৪ শতাংশ। আর অনেকটাই কমে বিজেপি ভোট পেয়েছে ১০ শতাংশ। সবুজ সুনামিতে ভর করে ১০৮ পুরসভার ১০২ আসনে জেতার পথে শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে, কংগ্রেস ভেটি পেয়েছে ৫ শতাংশ নাসের প্রাপ্ত ভোটের হা শতাংশ।
এদিকে নদির হেরপুর পুরসভা নফল করেছে সিপিএম। সেখানে ১৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮ টি ওয়ার্ডে বিপিএম জিতেছে। পাঁচটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তৃণমূল। নিজেদের দখল পুরসভন্ন রাখতে সমর্থ হয়েছে তাহেরপুর।
যে জন্মের পর তাহেরপুরের বামপন্থীদের স্যালুট জনহি , প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট দিয়েছে তারা জানিয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুবর্তী।
এদিকে বীরভূমে একটি আসনে জয়লাভ করেছে সিপিআইএম তবে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ফলাফল আশাব্যঞ্জক না।
এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন , ‘ বামেরা ফাইল করতে পেরেছে নমিনেশন কংগ্রেস ফাইল করতে পেরেছে , বিজেপি কেন পারছে না ? বিজেপির কোনও লোক নেই , সংগঠন নেই । কটা পাতাখোর , দেশাশের লোকদের দিয়ে ভোট হয় না । রাজনীতি একটা সংগঠন । তবু তো সিপিএম ভোট পেয়েছে সব জায়গাতে । ওরা উনিশে যে ভুল করেছিল , সেটা সংশোধন করেছে । আবার কিন্তু ভোট পাচ্ছে । আমার এখনেও ভোট পেয়েছে।
সিপিআইএ জাগা কিন্তু আবার মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াে কারণ একটা সংগঠন আছে । সিপিআইএম দলটা নরেন্দ্র মোদির মতো মিথ্যেবাদী এদিকে , দার্জিলিং , তাহেরপুর , এগরা , কেলডাঙ , বালা ও চাপদানি এই দুটি পুরসভা সরাসরি দখল করতে ব্যর্থ হল তৃণমূল ।
নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা দখল করেছে সিপিএম । নার্জিলিং পুরসভা হোমারা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা -৮ , গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ( মা ও মূলের মধ্যে ) দখল করেছে হামারো পার্টি । চাপদানি পুরসভা ( ভূপমূল ১১ , নি , কংগ্রেস ) ফারা পুরসভা ( তৃণমূল ৬ , বিজেপি ক্যংগ্রেস ১. নিদল ১৯ বেলা পুরসভা ( তৃণমূল , বিজেপি ৩ , নির্দল 8 ) পুর ( মুস – ২ )। ভোটে জোর পরই দু’জন নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের দখলে যাচ্ছে।