ডোমকলে পুলিশ ভ্যানে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি।

ডোমকলে পুলিশ ভ্যানে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার। রবিবার রাতে ফের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পলাতক আসামি রানা শেখ। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। এর আগে শনিবার এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হাফিজুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত তিনদিন ধরে রানা পুলিশের চোখে ধুলো দিতে একাধিক জায়গা বদল করছিলেন। তবে শেষরক্ষা হল না।

রবিবার রাতে পুলিশ রানার খোঁজ পায়। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা সাগরপাড়ার নওদাপাড়া এলাকায় হানা দেন। ডোমকল ও সাগরপাড়া থানার টিম এই অভিযানে ছিল। পুলিশের থেকে বাঁচতে রানা শেখ একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে লুকিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে কোথায় এই কদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন রানা? তাঁকে কারা সাহায্য করছিলেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।  এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে গ্রামের বাসিন্দা সাহিন মণ্ডলের বাড়িতে গয়না চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নেমে রানা শেখ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, চোর হিসেবে নিজের গ্রামে রানার ‘কুখ্যাতি’ রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে সেই রানাকে নিয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা।


সেই সময় ডোমজুড়ের বিলাসপুর ঘাটপাড়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের বাবা, মা-সহ এলাকার কয়েক জন পুলিশের উপর চড়াও হন। অতর্কিত এই হামলায় পুলিশ কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে গাড়ি ভাঙচুর করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান তারা। সেই ঘটনায় জখম হয়েছেন এসআই রানাপ্রতাপ সেনগুপ্ত। ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

সূত্রের খবর, কিছু গ্রামবাসী ওই পুলিশ আধিকারিকের গলা লক্ষ্য করে হাসুয়া চালান। নিজেকে বাঁচাতে ওই আধিকারিক হাত বাড়িয়ে দিলে তাঁর আঙুলে গুরুতর আঘাত লাগে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনা এবং আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তৃণমূলের মীনা বিবির বিরুদ্ধে।