কামারহাটি পুরভোটে ব্যাপক গোলমালের আশঙ্কা করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ভোট লুট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা মদনবাবুর।
তাঁর অভিযোগ, ভাঙ্গর, বসিরহাট, ভোজেরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ থেকে সশস্ত্র লোকজন আসছে ভোট লুট করতে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তৃণমূল কর্মীরাই রুখে দাঁড়াবে বলে দাবি করেছেন বিধায়ক।
মদন মিত্র বলেন, ভাঙর, ক্যানিং, ভোজেরহাট প্রত্যেক জায়গা থেকে বিভিন্ন ছেলেরা আমাকে ফোন করছে। দাদা কোনও গণ্ডগোল হচ্ছে নাকি তোমার এলাকায় আমি বলি, কেন বলতো?
বলছে আমাদের এলাকার সবাই গিয়েছে আর্মস নিয়ে ওখানে। কোটি টাকা দিয়ে কেউ বা কারা গুণ্ডা তোলার চেষ্টা করছে। সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।
তবে আমরা কাউকে পেলে তাকে এখানেই রেখে দেব। বাড়ি আর পাঠাব না। আমাদের এখানে সেল বানাব। এখানে খাবারটাবার দিয়ে সেলে ঢুকিয়ে দেব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরভোট নিয়ে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন মদন মিত্র। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভোটের দিন দুষ্কৃতীরা লুঠ করতে আসছে, এই আশঙ্কা করছেন তিনি।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, নিশ্চয় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ রয়েছে, তা না হলে এমন আশঙ্কা তিনি কেন করছেন?
তিনি এক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নামও নিয়েছেন। আরাবুল, শাজাহান- এরকম তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম বলেছেন তিনি।
অর্থাৎ তিনি যে দলের লোকেরই কথা বলছেন, সেটা এক্ষেত্রে স্পষ্ট। শাসকদলের বিধায়ক অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন। তাঁর ধারণা, এখানে ছাপ্পা ভোট মেরে তৃণমূলকে হারানোর চক্রান্ত হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে সিপিএম কিংবা বিজেপির দিকে আঙুল তোলেননি তিনি। সেক্ষেত্রে তিনি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন বলেও মন্তব্য করছেন।
মদন মিত্র বলেন, ক্যানিং, বসিরহাটের শাজাহানদের ওই জায়গা থেকে, মিনাখাঁ থেকে কোটি টাকা দিয়ে কেউ বা কারা গুণ্ডা তোলার চেষ্টা করছেন। আমাদের ওখানে আরাবুল আছে। তবে ম্যাক্সিমাম জায়গায় আমার নাম বলে হচ্ছে।
বলা হচ্ছে মদন দা বলেছে লোক পাঠাও। তারা বুঝতে পারছে না। আরাবুলের কাছে যাচ্ছে। ভাঙর, ক্যানিং, ভোজেরহাট থেকে ফোন আসছে। ভোট লুঠ হবে বলে ওখানকার ছেলেরা ফোন করছে।
প্রধানত অভিযোগটা আসছে ২১, ২২, ২৩ আর কামারহাটির দু একটা জায়গা থেকে। যে যেখান থেকে পারুন আনুন। আমরা ওদের সেলে রেখে দেব। আরাবুলের নেতৃত্বে, বৈদিক ভিলেজ থেকে লোক ঢুকছে।