শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমুলের সম্পর্ক কোন খাতে প্রবাহিত হবে তা এখনও কারও জানা নেই। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর মতাে হেভিওয়েট নেতাকে ধরে রাখতে সাংসদ শিশির অধিকারী, যিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশাের।
শুধু পিকে নয় তার টিমের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সদস্যকে নিয়ে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাথির বাড়িতে যান প্রশান্ত কিশাের। যদিও শুভেন্দু এদিন ঘাটাল, হুগলির বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী ও কালীপুজোর উদ্বোধনে ব্যস্ত ছিলেন।
এদিন ঘাটালের সভায় শুভেন্দুর মুখে ‘তৃণমূল নেত্রী’ কথাটি শােনা গিয়েছে। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও তৃণমূল নেত্রীর নাম আসলে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই। এরপরই সমালােচনায় মুখর হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নজিরবিহীনভাবে শুভেন্দুকে বিভিন্ন বাছাই করা শব্দবন্ধে তিনি আক্রমণ করেছেন। কল্যাণের মত নেতারা মুখে যাই বলুক না কেন শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা এবং তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতা রাজ্য রাজনীতিতে কতটা অপরিসীম তা তৃণমূল সুপ্রিমাে যেমন বােঝেন তেমনই বােঝেন ভােট-কৌশলী প্রশান্ত কিশাের।
সে কারণে এই জনপ্রিয় জননেতার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে যে ফাটল যাতে আরও চওড়া না হয় তার জন্য নিজে মরিয়া হয়ে কলকাতা থেকে কাথিতে ছুটে গেলেন পিকে। এদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত প্রায় দু ঘন্টা বৈঠক হয় পিকে ও শিশির অধিকারীর মধ্যে।
ম্যারাথন এই বৈঠকে পিকে’র টিম ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। তবে পরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কেউই মুখ খােলেননি । সূত্র মারফত আরও প্রকাশ, পিকের সঙ্গে শুভেন্দুবাবুরও ফোনে কথা হয়েছে। এই বৈঠকের পর শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা রাজ্য-রাজনীতির পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।