চলবে না লােকাল ট্রেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল রাতের নিয়ন্ত্রণ

নিয়ন্ত্রণে করােনা সংক্রমণ। তবে সামনেই রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি। তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। বুধবার কোভিড বিধি বলতের সময়সীমা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। সেখানে বলা হয়েছে রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকছে। বন্ধই থাকছে লােকাল ট্রেন চলাচল।

আগের ঘােষণা অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল বিধিনিষেধের সময়সীমা। কিন্তু রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বুধবার নতুন করে কোভিড বিধিনিষেধের সময় বাড়ানাে হল। নবান্ন থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে রাত ১১টা থেকে ভাের ৫ টা পর্যন্ত গাড়ি সাধারণ মানুষের বাইরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।

তবে স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা, কৃষিসামগ্রীসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। পার্ক, সিনেমা, রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ছাড়ের নির্দেশ বলবৎ থাকবে আগের মতো। লােকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও তান। সব গণ পরিবহণ চালু থাকবে।


চলতি বছর এপ্রিল-মে মাসে দেশজুড়ে করােনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। তখন বাংলায় ফের লােকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে স্টাফ স্পেশাল টেল চলাচলে ছাড় দেয় নবান্ন। ধীরে ধীরে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

কিন্তু এখনও লােকাল ট্রেন পরিষেবা আমজনতার জন্য চালু করতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন। এদিকে দীর্ঘদিন লােকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে ট্রেনের নিত্য যাত্রীরা। কিন্তু সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে আবার ট্রেন চালু হয়ে গেলে রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও করছে নবান্ন। তাই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লােকাল ট্রেন বন্ধই থাকবে।

মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, লােকাল ট্রেন না চলার জন্য মানুষের অসুবিধে হচ্ছে জানি, কিন্তু মানুষের জীবনের থেকে বড় কিছুই নয়। তাই আরও কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। জেলাগুলিতে টিকাকরণ পঞ্চাশ শতাংশ হলে লােকাল ট্রেন চালু করার কথা ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। মাস ঘুরলেই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গা পুজো।

এই প্রেক্ষিতে গত মাসেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নয়া নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া চিঠিতে জানানাে হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে করােনা সংক্রান্ত গাইডলাইন বলবৎ থাকবে। রাজ্যকে দেওয়া চিঠিতে স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ রুখতে কনটেনমেন্ট জোন গঠনে জোর দিতে বলা হয়েছিল। কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকাই মেনে চলছে রাজ্য সরকার।