• facebook
  • twitter
Wednesday, 19 March, 2025

বেআইনিভাবে জমি দখল বরদাস্ত নয়, বিধানসভায় স্পষ্ট বার্তা ফিরহাদের

বছর খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বেআইনি দখল নিয়ে নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন।

ফাইল চিত্র

বেআইনিভাবে জমি দখল ও প্রোমোটিং ঘিরে বিজেপি বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে পুরমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বেআইনিভাবে জমি দখল বরদাস্ত করা হবে না। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন পুরমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কীভাবে জমি পাওয়া যাবে, সেই উপায়ও বলে দেন।

কিন্তু এদিন ঠিক কী প্রসঙ্গে এই কথা বলেন পুরমন্ত্রী? জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ রাজ্যে বেআইনিভাবে জমি দখল করে প্রোমোটিং এবং ‘জবরদখল’ করে হকারি প্রসঙ্গে বিধানসভায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। সেই সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে কলকাতা শহর ও রাজ্যে বহুতল ভেঙে পড়া বা হেলে পড়া নিয়ে বিধানসভায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং পুলিশ প্রশাসনের একাংশ টাকার বিনিময়ে বেআইনি দখলে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ বিষয়ে শঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। সেই প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, রাজ্য সরকারের জমি নীতি মেনে নিলাম অথবা মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুমোদন ছাড়া কেউ কোনও জমি দিতে পারবে না।

প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বেআইনি দখল নিয়ে নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। সেখানে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযান নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে পার্কিং প্রসঙ্গও। সেই বৈঠকে তিনি বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা দেন। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে রাজ্যবাসীকে জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার বেআইনিভাবে জমি দখল কখনও বরদাস্ত করবে না। এরপরই পুলিশ-প্রশাসনকে বেআইনি দখলদারি মুক্ত করার নির্দেশ দেন মমতা। তবে প্রকৃত বেআইনি দখলদারি কারা, তা নিয়ে তিনি একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেন। সেই সমীক্ষার পর কাদের উচ্ছেদ করা হবে, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি তিনি রাজ্যবাসীকে বার্তা দেন, কারও জীবিকা কেড়ে নেওয়ার জন্য এই উচ্ছেদ বা সমীক্ষা নয়, কোনও ব্যবসায়ীর রুটিরুজি তিনি বন্ধ করতে চান না। বরং কলকাতা সহ গোটা রাজ্যকে যাতে পরিকল্পনা মতো সাজানো যায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ। এবং উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ ধরেন।

News Hub