পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড়ে চিতাবাঘ আতঙ্ক

পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড়ে চিতাবাঘ আতঙ্ক। আর তা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন, রাইকা পাহাড়ে চিতাবাঘ রয়েছে। হয়ত জিনাতের আগে এখানে বাঘও আসত। খেয়েদেয়ে চলে যেত। জিনাত আসার পরেই আবিষ্কার হল যে এটি অস্থায়ীভাবে বাঘেরও ডেরা।

রাইকা পাহাড় সংলগ্ন বারুডি গ্রামে বুধবার একটি কুকুরের মৃতদের উদ্ধার হয়। আর এই মৃতদেহ দেখেই বন দপ্তরের অনুমান, রাইকা পাহাড়ে চিতাবাঘ রয়েছে। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে তরফে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। রাইকা পাহাড়ের বড় অংশ জুড়ে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।

এদিকে চিতাবাঘের আতঙ্কে রাইকা পাহাড় সংলগ্ন কেসরা উদলবনী এবং যমুনাগড়া গ্রামের স্থানীয় মানুষরা রীতিমতো চিন্তিত। বন দপ্তর থেকে তাঁদের জঙ্গলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে জঙ্গল থেকে কাঠ, পাতা,লাল পিঁপড়ে এবং অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারছেন তাঁরা। এর ফলে জীবনধারনে সমস্যা হচ্ছে।


রাইকা পাহাড়ের উচ্চতা ১ হাজার ৫৪৪ ফুট। এর আগে অবশ্য কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ জানত না, পাহাড়ে নেকড়ে আছে। ট্র্যাপ ক্যামেরাতেই তা ধরা দেয়। এই পাহাড়ে অবশ্য হায়নার উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত বনকর্মীরা। কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটে প্রায় তিন বছর ধরে চিতাবাঘ ঘর-সংসার করছে। তারপর রাইকা পাহাড়ে চিতাবাঘের উপস্থিতিতে এই কঠিন সময়েও উল্লসিত বনদপ্তর।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরুলিয়ার বন দপ্তর এবং সুন্দরবনের ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন জঙ্গলে। বিভিন্ন স্থানে খাঁচা পাতা হচ্ছে, যাতে বাঘটিকে বন্দি করা যায়। বাঘটিকে ধরার জন্য আরও ছাগলের টোপ দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশি করে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।