• facebook
  • twitter
Thursday, 20 February, 2025

স্যালাইন কাণ্ড: ড্রাগ কন্ট্রোলের দপ্তরে ডেপুটেশন জমা বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের

ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, জাল স্যালাইন সরবরাহে দায়ী ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বামেরা। বামেরা বার বার অভিযোগ করেছে, জাল স্যালাইনের কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের দপ্তরের গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিল সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। মীনাক্ষী জানিয়েছেন, এরপর রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তরেও অভিযান হবে।

ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, জাল স্যালাইন সরবরাহে দায়ী ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। মেটিয়াব্রুজে কয়েকজন দর্জিশিল্পী অন্ধ হয়েছেন এই চিকিৎসা করাতে গিয়ে। ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে অভিযোগ আসছে। তাও জাল ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করছে না। রাজ্য সরকার এই স্যালাইন সরবরাহ করতে দিয়েছে। গরিব মানুষ যান সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য, তাঁদের শরীরে যে বিষাক্ত স্যালাইন চলে যাচ্ছে তার দায় কে নেবে? ড্রাগ কন্ট্রোলের একাধিক পদ খালি। নিয়োগ হচ্ছে না। মানুষকে মারার জন্য এই সংস্থা গুলো তৈরি করা হয়নি।

পিপলস রিলিফ কমিটির সম্পাদক চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম বলেন, রাজ্যে বিষাক্ত স্যালাইন তৈরি করার সংস্থা বাড়ছে কেন সেটা আজ এখানে এসে জানা গেল। ব্যাঙের ছাতার মতো ভুয়ো সংস্থা বাড়ছে আর বরাত পাচ্ছে। এই ড্রাগ কন্ট্রোল কোনও নোটিস, রিপোর্ট মানুষের সামনে আনে না। কেন আনে না তা জানা নেই। ড্রাগ কন্ট্রোল বলছে যে তারা রাজ্য সরকারকে ভুয়ো সংস্থার বিষয় জানিয়েছে। প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকার সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলে কোনও রিপোর্ট দেয়নি এখনও। বিষাক্ত স্যালাইন ফেরাতে পারেনি রাজ্য এবং কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল। কেন রিপোর্ট পেশ করা হলো না, তা নিয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর নেই।

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, কালো তালিকায় থাকা সংস্থা কী করে স্যালাইন দিচ্ছে? এই সংস্থার থেকে টাকা কারা খেলো? কোথায় গেল টাকা, সব বার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। আরও চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। অভিযোগ, নিম্নমানের স্যালাইন থেকে বিপত্তি ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে মেদিনীপুরে চিকিৎসকদের গাফিলতির বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এর আগে মেদিনীপুরে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠন। ওই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বাম ছাত্র-যুবদের। এরপর মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।