৪০ জন তৃণমূলের বিধায়ক নাকি বিজেপি’র সঙ্গে যােগাযােগ করছেন। ৪০ জন বিধায়ক তাে দূরের কথা, একজনও গেলে ১ লক্ষ তুমুল বিধায়ক তৈরি হয়ে যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে ভদ্রেশ্বর সুভাষ ময়দানে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের সমর্থনে জনসভা করতে এসে এভাবেই নরেন্দ্র মােদিকে পাল্টা আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার চন্ডীতলায় জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দাবি ককেন যে তৃণমুলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যােগাযােগ রাখছেন। আর এদিন তারই পাল্টা সভা করেন মমতা।
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সভার মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি কলেন, ‘আগে একজন জোগাড় করুন, গেলে ১ লক্ষ তৈরি হয়ে যাবে।’ তাঁর দাবি, বিজেপি টাকার বিনিময়ে চলে, কিন্তু তৃণমূল রক্তের বিনিময়ে।
এদিন মমতা মুকুল রায়ের নাম না করে বলেন, যার গলায় হাত রেখে মোদি ঘোড়া (বিধায়ক) কেনাবেচা, সারদা-নারদের কথা বলছেন তিনি নিজেই হাওলার মালিক, সারদা, নারদে অভিযুক্ত। তিনি এও বলেন, ইচ্ছে করলেই তাঁকে (মুকুল রায়কে) অ্যারেস্ট করতে পারেন, কিন্তু তিনি ভদ্র বলে আর এখন ভােট চলছে বলে তা করাননি।
মমতা এদিন এও দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে ঘােড়া কেনাবেচার কথা বলায় নির্বাচন কমিশনের উচিত তাঁর মনােনয়ন বাতিল করা। কারণ তিনি সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধান ভাঙ্গছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি নেতারা কোনও হােমওয়ার্ক করে আসেন না স্কুলে যেমন হােমওয়ার্ক করে না গেলে টিচার খাতায় নোট দেন। তেমনই তিনিও সেইভাবে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একটা করে নোট দেবেন অর তৃণমূলে ভোট দেবেন।
এদিন ডানলপ অধিগ্রহণ ও বাংলার নম বদল প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, তিন বছর ধরে প্রস্তাব পাঠানাের পরেও প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাবে সই করছেন না।
মমতা বলেন, ‘বাংলায় পারে বিধায়ক কিনতে আসবেন। আগে দিল্লি সামলান।’ তিনি এও বলেন যে মােদি আবার প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, ফলে আর ভােট হবে না। তিনি মােদির উদ্দেশে বলেন, ‘আগে দেশ গড়াে, না হলে মানে মানে সরে পড়ে। কারণ বাংলা ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না। মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশাস, তপন দাশগুপ্ত, অসীম পাত্র, ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ।
এদিন মমতার সভামঞ্চে দেখা যায় ভিখারি পাশোয়ানের মা ও দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত মনােজ উপাধ্যায়ের দাদাকে। মমতা ভিখারি পাশােয়ানের মায়ের হাতে মাইক তুলে দেওয়ায় তিনি সকলকে তৃণমূলে ভােট দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান। অন্যদিকে সিকিমে বেড়াতে গিয়ে নিহত বসু পরিবারের পাশে দাঁড়ানাের জনা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে দায়িত্বও দেন ।