আইনের ছাত্রীকে  হুমকি, পুলিশের ভূমিকায় ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

হুগলি: বিয়ে পরে হবে! আগে পড়শোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। এমনটাই চেয়েছিলেন এক যুবতী। শিক্ষালাভের জেদে সে ভর্তিও হয়েছিল কলকাতার হাজরা ল কলেজে। তাঁর এই হার না মানা মনোভাব সহ্য করতে পারেননি অনেকেই। আক্রমণ নেমে এসেছিল তাঁর ওপর। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কেন হামলা হল? অপরাধীদের ধরতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিককে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ আদালতের।

হুগলি জেলার চন্ডীতলা থানা এলাকার শ্যামসুন্দর গ্রামের বাসিন্দা  যুবতী আইন নিয়ে পড়াশোনার জন্য হাজরা ল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে লাগতার উত্যক্ত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। যুবতী অভিযোগ করেছেন, তাঁর কিছু আত্মীয় এবং গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। অ্যাসিড ছুড়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। অত্যাচার বাড়তে থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ভোটের জন্য কলকাতা ছেড়ে মে মাসে গ্রামে যাওয়ার পর থেকে চলছে এই অত্যাচার। আর পুলিশের কাছে একের পর এক অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ

ঘটনার এফআইআর করেনি বলে ওই যুবতীর অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পত্রে কোনও অভিযুক্তের নাম ছিল না। আমরা ভুল করেছি মেনে নিচ্ছি। নির্যাতিতার বোনের অভিযোগপত্রে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় সেটা পূরণ করতে বলা হয়েছিল।


অন্যদিকে, মামলাকারীর আইনজীবী জানান, পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তো নেয়নি। উলটে, অভিযুক্তরা অভিযোগ জানায়, দুই তরুণীর বিরুদ্ধে। জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কি হবে আমরা জানি না? আদালত এদিন নির্দেশ দিয়েছে, যুবতীর পরিবারের যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। থানার ওসি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট নয় কেন পুলিশ এফ আই আর  করেনি। এমনকি, ২০ মে লিখিত অভিযোগে জানানোর পরেও কেনও এফ আই আর  হয়নি স্পষ্ট হয়নি সেটাও। যেখানে এমন মারাত্মক অভিযোগ, পুলিশের আরও আগে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।