শহরবাসীর জন্য সস্তায় দুপুরের খাওয়ার দেওয়ার জন্য ‘মায়ের রান্নাঘর’-এর প্রস্তাবনা ছিল বাজেটেই। যেখানে মিলৰে পাঁচ টাকায় ডিম ভাত। দুশাে গ্রাম চালের ভাতের সঙ্গে থাকবে ডাল এবং সব্জিও ।
আপাতত শহরের ১৬ টি বরােতে চালু হতে চলেছে এই ‘মায়ের রান্নাঘর’। সােমবার বিকেল তিনটেয় ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পটি নির্বাচনের আগে একটা মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, স্বাধীনতার পরে গরিবদের জন্য পাঁচ টাকায় পেট পুরে আমিষ খাওয়ার সুযােগ এই প্রথম সরকারি পর্যায়ে চালু হচ্ছে। আপাতত শহরের ১৬ টি বরােতে এই ‘মায়ের রান্নাঘর’ চালু হলেও আগামীদিনে মহানগরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই এই রান্নাঘর চালু হবে।
পুরসভার তরফে দেবাশিস কুমার বলেন, বরাে এলাকার যে কোনও একটি পয়েন্ট থেকে দুস্থদের জন্য বিলি করা হবে এই রান্না করা খাবারের থালি। যে মরসুমে যে সব্জি মিলবে, তাই দিয়েই রান্না হবে ‘মায়ের রান্নাঘর’ -এ। প্রতিদিন দুপুর একটা থেকে দুটো পর্যন্ত এই খাবার বিলি করা হবে।
সােমবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন এই ডিম-ভাতের থালি পাওয়া যাবে ঘােষিত বরােগুলির নির্দিষ্ট জায়গায়। এতদিন পর্যন্ত স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় রান্না করা খাবার ছাত্রছাত্রীদের জোগান দিচ্ছিল রাজ্য সরকার।
এমনকী করােনার সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলে চাল-ডাল-আলু প্রতিমাসে পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার রান্না করা আমিষ খাওয়ার দুস্থ মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত বছর দুয়েক আগে ত্রিধারা ক্লাবের উদ্যোগে শিশুমঙ্গল নার্সিংহােমের সামনে ছয় টাকায় নিরামিশ থালি দেওয়া হয়েছিল। তার উদ্যোক্তা ছিলেন দেবাশিস কুমার। এবার পুরসভার উদ্যোগে ‘মায়ের রান্নাঘর’-এর ডিম ভাত বিলির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সেই দেবাশিস কুমারই।