হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়

অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Photo:Facebook@abhishek.mithu.chatterjee)

বরানগরের ছিপছিপে সুদর্শন ফুটবল পাগলা এবং পাড়া প্রতিবেশীদের আদরের মিঠু এবং পরবর্তীতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের চলচ্চিত্র জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৮৬ সালে। প্রবাদপ্রতিম পরিচালক তরুণ মজুমদারের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘পথভোলা’র মাধ্যমে।

এরপর প্রায় ৩৬ বছর ধরে রুপোলি পর্দায় একের পর এক- আবির্ভাব, ফিরিয়ে দাও, দহন, নয়নের আলো, বাড়িওয়ালা, মায়ের আঁচল, অর্জুন আমার নাম, আলো, সকাল-সন্ধ্যা ও অন্যান্য বহু সিনেমায় নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরে অসংখ্য দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বরানগরে ১৯৬৪ সালের ৩০শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন অভিষেক। বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিষেক নিজের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে গ্রাজুয়েট হন আনন্দম জয়পুরিয়া কলেজ থেকে। তারপরে পরেই হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র জগতে তার পদার্পণ।


সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি যাত্রা এবং বাংলা টেলিভিশনেও ভীষন জনপ্রিয় ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। নব্বই দশকের শুরু এবং শেষের দিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, চিরঞ্জিতের পাশাপাশি অভিষেক নিজের সুদর্শন চেহারা আর অভিনয়ের দক্ষতায় নিজেকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতে।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মনোনিবেশ করেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রতি স্টার জলসার ধারাবাহিক গুনগুনের বাবার চরিত্রে তিনি ভীষণ প্রশংসিত হয়েছিলেন।

জানা গিয়েছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক। বুধবার একটি রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন হঠাৎ সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হলেন তিনি।

তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া তথা সিনেমা জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ সকল সিনেমা অনুরাগীরা। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের নাম সর্বদা বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে তার অভিনীত বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে।