• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

সিকিমে ধস অব্যাহত, পাহাড় থেকে রাস্তায় পাথর ছিঁটকে মৃত ১

অর্ণব সাহা, গ্যাংটক: উত্তর সিকিমের সিংথামে ধসের কবলে পড়ল যাত্রীবাহী গাড়ি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একজনের। জানা গিয়েছে, গাড়িটি সিকিমের লিঙি থেকে সিংথামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল৷ মাখা সিঙবেলের কাছে পাহাড় থেকে বড়ো একটি পাথর গাড়িটির উপর পড়ায় গাড়টি দুমড়ে মুচড়ে যায়। সেখানেই প্রাণ হারান এক মহিলা। ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে

অর্ণব সাহা, গ্যাংটক: উত্তর সিকিমের সিংথামে ধসের কবলে পড়ল যাত্রীবাহী গাড়ি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একজনের। জানা গিয়েছে, গাড়িটি সিকিমের লিঙি থেকে সিংথামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল৷ মাখা সিঙবেলের কাছে পাহাড় থেকে বড়ো একটি পাথর গাড়িটির উপর পড়ায় গাড়টি দুমড়ে মুচড়ে যায়। সেখানেই প্রাণ হারান এক মহিলা। ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, রাতভর টানা বৃষ্টিতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের। শুক্রবার সকাল থেকে আবার ধস নামতে শুরু করেছে সেখানে৷ সেলফিদাড়া ও বিড়িকদাড়াতেও ধস নেমেছে। এদিকে সেলফিদাড়ায় পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে। তার মধ্যে আবার নতুন করে ধস নামায় সমস্যায় প্রশাসন। সিকিম ও কালিম্পংগামী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ৷ বিড়িকদাড়া ও লোহাপুলের কাছে নতুন করে ধস নেমেছে। ফলে ১২ দিন ধরে বন্ধ বাংলা ও সিকিম যোগাযোগ ব্যবস্থা৷

এদিকে মাল্লি যাওয়ার রাস্তা আগে থেকেই বন্ধ ছিল। এদিনের বৃষ্টিতে এবার তিস্তাবাজার এলাকার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরও তিস্তার জল উঠে গিয়েছে। ওই সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। প্রবল বৃষ্টির জেরে নদীর জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর জল দেখে বোঝার উপায় নেই যে জাতীয় সড়ক কোথায় রয়েছে। ফলে ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি।

অন্যদিকে, লাভা হয়ে সিকিম ও কালিম্পংগামী রাস্তাটিতেও একাধিক জায়গা ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সড়কের ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তবে ওই রাস্তা দিয়েও ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। যদিও ওই রাস্তায় এখন ছোট গাড়ি চলাচল করছে। ১৯ মাইলে রাস্তার কাজ চললেও, নতুন ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক। পর্যটকদের জন্য পানবু হয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাটি খোলা রয়েছে। এছাড়া খোলা রয়েছে রংপো থেকে মানসুং হয়ে লাভা যাওয়ার রাস্তা। ৭১৭ ও ৭১৭-এ জাতীয় সড়ক ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে।

পর্যটকদের কথা ভেবে আলগাড়া থেকে লাভা হয়ে গোসখালাইনের রাস্তাটি মেরামতের কারণে ১৪ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জানানো হয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে। এই প্রসঙ্গেই কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমণিয়ম টি বলেন, “১০ নম্বর জাতীয় সড়কে কয়েক জায়গায় নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে। তিস্তাবাজার এলাকায় নদীর জল উঠে গিয়েছে। যে কারণে সমস্যা বেড়েছে। অন্যদিকে সেলফিদাড়ায় মেরামতের কাজ চলছে। তবে পর্যটকদের জন্য সিকিম যাওয়ার বিকল্প পথ খোলা রয়েছে।”