হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেবেন লালবাজারের পুলিশ কর্তা

সাত দিনের মধ্যে ঠিক কীভাবে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে গত সপ্তাহে আরজি কর মামলার শুনানিতেই প্রশ্ন তুলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সেই পর্যবেক্ষণের মধ্যেই এবার হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে ময়দানে নামলো লালবাজার। তবে এক সপ্তাহ নয়, বরং প্রশিক্ষণ হবে মাত্র তিনদিনের। যার নেতৃত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং যুগ্ম কমিশনার পদের কর্তারা।

লালবাজার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি দফায় চলবে এই প্রশিক্ষণ পর্ব। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের একাধিক ব্যাচে বিভক্ত করে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ হবে তিনদিন। সেই তিনদিনে উপস্থিত থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শহরের সমস্ত হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। তাঁদের কবে কখন এবং কোথায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট এলাকার ডেপুটি কমিশনাররা জানাবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেই মতো নির্দিষ্ট দিনে প্রশিক্ষণের জন্য বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হবে বলেই জানা গিয়েছে। লালবাজারের তরফে আরও জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(৫) অশেষ বিশ্বাস, যুগ্ম কমিশনার(প্রশিক্ষণ) মেহমুদ আখতার এবং যুগ্ম কমিশনার(সংগঠন) অজয় প্রসাদ।


প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত পিছু হাঁটতে বাধ্য হয় রাজ্য। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই সরিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় বর্তমানে কলকাতার নগরপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ আইপিএস তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন মনোজ কুমার ভার্মাকে। দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই ‘অ্যাকশান’ মুডে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বস্তুত পক্ষে, দায়িত্ব নিয়েই গিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের ভাঙ্গা মনোবল চাঙ্গা করতেও এগিয়ে এসেছেন তিনি। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যত সদর্থক বার্তা দেবে বলেই মনে করছেন পুলিশকর্তাদের অনেকে।