আসানসোল ও বালিগঞ্জে উপনির্বাচনে সাফল্যের পর বিজেপির উদ্দেশে টুইট বাণ ছুঁড়লেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুনাল লিখেছেন, ‘জেতা আসানসোল তিন লাখে হার।
বালিগঞ্জে জামানত জব্দ হয়ে তৃতীয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, মিডিয়ার সমর্থন, বিজেপির বড় বড় কথা সবই তো ছিল।’
ভোটের ফলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি এর পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত মালবীয়র নামের সঙ্গে রাজ্যপালকে যুক্ত করে কটাক্ষ করেছেন।
বালিগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন ৫১ হাজার ১৯৯ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বাম প্রার্থী সায়রা হালিম। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৭১ ভোট।
বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২০ ভোট, যা মোট ভোটের এক ষষ্ঠাংশের কম।
ফলে বিজেপি প্রার্থী জামানত জব্দ হওয়ার কথা। যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
একই অবস্থা কংগ্রেস প্রার্থী কামারুজ্জামান চৌধুরীরও। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২১৮ টি ভোট।
জামানত জব্দ হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ব্যাখ্যা, “এমনিতেই বালিগঞ্জে আমাদের ঠিক করে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
ভয়ে আমাদের ভোটাররা বুথেই যেতে পারেননি। তা ছাড়া একুশের নির্বাচনে প্রবল হাওয়াতেও বালিগঞ্জে আমরা ভোট পেয়েছিলাম মাত্র ৩০ হাজার।
বালিগঞ্জ আমাদের জন্য দারুণ সিট কখনই ছিল না। ওখানে সংখ্যালঘু ভোট ৪২ শতাংশ। যাঁরা আমাদের ভোট দেন না।