২০১৩ সালের ১৩ জুন শেষবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেখা গিয়েছিল কুণালকে। ছ’বছর পর শনিবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফের তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘােষ।
তবে তাঁর আগে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েও তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন কুণাল।
এদিন প্রথমে কুণাল ঘােষ অভিষেকের বাড়িতে যান তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফের অভিষেকের সঙ্গে ফের একপ্রস্থ বৈঠক করেন কুণাল। সব মিলিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘােষ জানান, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনাে দিনের পরিবর্তন আন্দোলনের সৈনিক। অনেক দিন বাদে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল। কথাও হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভালাে কাজ করছেন। অনেক দিন পরে কথা হওয়ায় ভালাে লাগল। এর বেশি অবশ্য কুণাল বলতে রাজি হননি।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিশদে কিছু জানানাে না হলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের কঠিন সময়ে এই বৈঠক নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আচমকাই কুণাল ঘােষ তৃণমুল সুপ্রিমাে এবং দলের অন্যতম শীর্ষ নেতার বাড়িতে যাওয়ায় রাজ্যের শাসকদলের অন্দরেও জল্পনাও কোনও অংশে কম নয়।
শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরই কুণালের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া আসলে ঠিক কি, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তবে কি ফের কুণাল ঘােষকে এবার বেশি বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি গুলিতে দেখা যাবে? এই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই নিয়ে দুই পক্ষই মুখে কুলুপ এটেছে।
সাংবাদিক, সম্পাদক থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে কুণালের উত্তরণ দেখেছে এই বাংলা। মাঝখানে অবশ্য সারদা কাণ্ড কিছুটা এলােমেলো করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রাক্তন সাংসদের জীবনের গতিপ্রকৃতি। তবে হার না মানা মনােভাব নিয়ে কুণাল চলছেন নিজস্ব ছন্দে। কঠিন অবস্থায়ও তিনি তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেননি।
যতদূর জানা যাচ্ছে কুণাল ঘােষকে তৃণমূল পুনরায় দলের কাজে লাগাতে পারে। ফলে মাঝখানে ক্ষণিক বিরতির পর কুণালের প্রত্যাবর্তন তৃণমূলে এখন স্বমহিমায় হয় কিনা সেটাই দেখার।