বিধাননগর পুরনিগমের সম্ভাব্য মেয়র হতে চলেছেন মমতার ছায়াসঙ্গী কৃষ্ণা চক্রবর্তী । ডেপুটি মেয়র পদে থাকছেন তাপস চ্যাটার্জিই। শােনা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী যুব কংগ্রেস কর্মী কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নামেই মেয়র পদে সিলমােহর দিয়েছেন মমতা।
মঙ্গলবার কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তাপস চ্যাটার্জি এবং দেবাশিস জানা তিনজনেই আসেন নবান্নে। মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার নিয়ে কীভাবে আগামী দিনে চলবেন তা নিয়ে আলােচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
তবে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পদে কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে বাছাই করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মমতা আনুগত্যই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বিধাননগর পুরনিগমের অধিকাংশ কাউন্সিলরেরই পছন্দের প্রার্থী কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
যদিও সব্যসাচী দত্ত পদত্যাগ করার পর এই পদের দৌড়ে ছিল তাপস চ্যাটার্জি এমনকী সুজিত বসুরও নাম। কিন্তু তাপস চ্যাটার্জিকে মেয়র করলে বিধাননগরের অনেক কাউন্সিলরই বিরােধিতা করতেন। অনাস্থাও আনতে পারতেন। তাছাড়া একদা বামফ্রন্ট থেকে আসা সুজিত বসুকেও মেয়র পদে মেনে নিতে অনেকের অসুবিধে হত।
সেক্ষেত্রে কৃষ্ণা চক্রবর্তী সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর সল্টলেক পুরসভা এবং রাজারহাট পুরসভাকে একত্রিত করে বিধাননগর পুরনিগম তৈরি করা হয়। এই পুরনিগমে বিশ্বাসভাজন এবং মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম এমন একজনকে মেয়র করার প্রয়ােজন ছিল।
মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস জানা সহ অনেক কাউন্সিলরই জানিয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী মেয়র হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এরপরই কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে মেয়র হিসেবে মনােনীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান পদে বেছে নেওয়া হতে চলেছে অনিতা মণ্ডলকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্ত একসঙ্গে ফের দল ভাঙানাের খেলা খেলতে পারেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিশ্বাসভাজন কাউকে মেয়র করার প্রয়ােজন ছিল।
কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কথায়, তিনি একেবারে ফ্রক পরার সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেস নেত্রী, তখন থেকেই কৃষ্ণা চক্রবর্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে পাশে রয়েছেন। সব্যসাচী বিদায়ের পর পুরনাে সঙ্গীকেই বেছে নিলেন মমতা।