• facebook
  • twitter
Wednesday, 20 November, 2024

কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত ট্যাব চক্রের মূল পান্ডা

তদন্তকারী এক আধিকারিকের মতে, স্কুলের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে ধৃত দিবাকরের ধারণা ছিল ঠিক কখন পড়ুয়াদের তথ্য আপলোড করা হয় পোর্টালে।

প্রতীকী চিত্র।

ট্যাব কেলেঙ্কারির শিখর লুকিয়ে স্কুলের লগইন আইডিতে! ট্যাব চক্রের মূল পান্ডা অভিযুক্ত দিবাকর দাসকে গ্রেপ্তার করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ।

উল্লেখ্য, ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কৃষ্ণপদ বর্মন এবং শরিফুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে। আর এবার সেই কাণ্ডে যুক্ত হল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক দিবাকর দাসের (২৮) নাম। তিনিও উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোপাল রায় (২৮) এবং বিশাল ঢালি (২৩) নামে দুই যুবককে। তারা দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।
তদন্তকারী এক আধিকারিকের মতে, স্কুলের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে ধৃত দিবাকরের ধারণা ছিল ঠিক কখন পড়ুয়াদের তথ্য আপলোড করা হয় পোর্টালে। সেই মতো আগে থেকেই সে পেতে রেখেছিল প্রতারণার জাল। বস্তুত, তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে পড়ুয়াদের তথ্য আপলোড করার জন্য যে পোর্টাল রয়েছে তা রাজ্যের সমস্ত স্কুলেরই একই ধরনের। শুধু আলাদা বলতে ডিস্ট্রিক্ট কোড। অন্যদিকে লগইন করার কাজে ব্যবহার করা হয় নির্দিষ্ট স্কুলের ইউনিক আইডি। যা বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে খুবই সহজলভ্য বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে জেরার মুখে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বদলে ফেলেছিল ধৃত। একই সঙ্গে তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এলাকার গরীব মানুষদের কমিশনের লোভ দেখিয়ে ভাড়া করা হতো অ্যাকাউন্ট। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করেই চলতো জালিয়াতি। তবে দিবাকর ছাড়াও এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাদের মতে, সরশুনা থানা এলাকায় যে ক’টি মামলা হয়েছিল, তার পুরো টাকাটাই গিয়েছিল দিবাকরের কাছে।