• facebook
  • twitter
Sunday, 29 December, 2024

অবৈধ জলের কারবারীদের হাতেনাতে ধরলেন কোন্নগরের পুরপ্রধান

অবৈধ জলের কারবারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামলেন কোন্নগরের পুরপ্রধান। হাতেনাতে ধরলেন অবৈধ জলের কারবারীদের।

অবৈধ জলের কারবারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামলেন কোন্নগরের পুরপ্রধান। হাতেনাতে ধরলেন অবৈধ জলের কারবারীদের। এই ঘটনা ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলি জেলার কোন্নগরে। শনিবার সকালে জল চুরি রুখতে কোন্নগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা আরএন টেগোর রোডে পৌঁছে যান পুরপ্রধান স্বপন দাস। সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে জল কারবারিদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ, অবৈধ ভাবে জলের কারবার চালাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। কেউ মাটির তলা থেকে সরাসরি জল তুলে নামী কোম্পানির বোতলে ভরে বিক্রি করছিলেন। তাঁরা জল পরিশোধন করছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কেউ আবার পুরসভার সরবরাহ করা জলই সরাসরি বোতলে ভরে বিক্রি করছিলেন। গোটা বিষয়টিই নজরে আসে পুরপ্রধানের। এরপরই পুরপ্রধান স্বপন দাস স্বয়ং সরাসরি অভিযানে নামেন।

অভিযোগ, এক-একদিনে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার লিটার জল তোলা হচ্ছে। পরিশোধন না করেই সেগুলি বোতলে ভরে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নামী কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে সেই সব বোতল চড়া দামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। আর গোটা ব্যাপারটাই করা হচ্ছে কোনও কাগজপত্র ছাড়াই। প্রচুর জল এভাবে ব্যবসার কাজে বাইরে চলে যাওয়ার পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না পুরসভা বাসিন্দারা।

পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। এক-একদিনে প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার লিটার জল তুলে নিচ্ছে। তারপর সোজা সেই জল বোতলে ভরে বিক্রি করে দিচ্ছে। ওই জল কতটা মানুষের শরীরের উপযোগী তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, চাকরিবাকরি নেই, তাই কোন্নগরের অনেকেই জলের কারবার করেন। অবশ্য এক ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর জল এক কেমিস্ট পরীক্ষা করেন।