• facebook
  • twitter
Thursday, 10 April, 2025

এক মাসে বাংলায় বর্ষণে ঘাটতি ৪৪ শতাংশ, আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখী

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত এক মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির ঘাটতি ১০০ শতাংশ।

ফাইল চিত্র

তীব্র গরমে নাজেহাল বাংলার মানুষ। বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জেলায় জেলায় বৃষ্টি হলেও সার্বিকভাবে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত এক মাসে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিতে অন্তত ৪৪ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ, যতটা বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেকটাই কম হয়েছে। এরই মধ্যে অবশ্য আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে।

সোমবার কলকাতায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাত। ওই দিন বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বেশ কয়েকটি জেলায়। রবিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। সোমবার থেকে ভিজতে পারে কোচবিহার এবং মালদহও। একই সঙ্গে ঝড়ের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত এক মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির ঘাটতি ১০০ শতাংশ। মালদহেও ঘাটতির পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি, ৯৮ শতাংশ। বাকি জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহারে ৯০ শতাংশ, হুগলিতে ৯০ শতাংশ, কলকাতায় ৮৭ শতাংশ, কালিম্পংয়ে ৮৬ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৮৪ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ৮৪ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ শতাংশ ঘাটতি ছিল বৃষ্টিতে। এরপর থেকে গ্রীষ্মের উত্তাপ ক্রমেই বাড়বে। ফলে বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।