বুধবার মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হামলার পরপরই কলকাতা পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগিতা চায় পুলিশ। বুধবার রাতেই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল স্পষ্ট বলেছিলেন, হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছে ইমারজেন্সি বিল্ডিং ঘুরে দেখেন তিনি। আন্দোনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি তাঁদের সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এই হামলা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য চলছে। তৃণমূল মুখপাত্র ঋজু দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং ছাত্র সংগঠন এসএফআই! এই দুই সংগঠনকে তিনি ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ বলেও আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর জঘন্য চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আর জি করের লাগোয়া এলাকায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচির একটি মিছিল চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় আর জি করের জরুরি বিভাগের বাইরে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।
আর জি কর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে ভাঙচুর চালানো হয়। আর জি করের পুলিশ ফাঁড়ি এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
ঘটনাস্থলে কিছু পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও প্রাথমিকভাবে তারা কিছু করে উঠতে পারেননি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় র্যাফও। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে জখম হন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী।