বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় উত্তাল বঙ্গজীবন। লােকসভা নির্বাচনের আবহে রাজনৈতিক চাপান উতােরও অব্যাহত। গােটা ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর এর মধ্যেই বিদ্যাসাগরের মুর্তি কে বা কারা ভাঙল? তদন্তে সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ।
বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে রয়েছেন কারা? কীভাবেই বা এগােবে সিটের তদন্তপ্রক্রিয়া? এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) দেবাশিষ সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছে গােয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (১), গুন্ডা দমন শাখার এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা ও মহিলা থানার ওসি এবং একজন সাব ইন্সপেক্টর যিনি মামলার আইও।
তদন্তকারী সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়েছেন সিটের সদস্যরা। ৫০ টি ভিডিও ফুটেজ হাতে এসেছে গােয়েন্দাদের। যার মধ্যে দুটি ফুটেজে মূর্তি যারা ভেঙেছে তাদের দেখা যাচ্ছে। নীর রঙা জামা পরা এক ব্যক্তিকে সেখানে চিহ্নিত করা সম্বব হয়েছে।
ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত এমন পাঁচ থেকে ছয় জনকে চিহ্নিত করা গেছে। যাদের মধ্যে দু’জন কলকাতার বাসিন্দা। বাকিরা জেলার বাসিন্দা বলেও তথ্য হাতে উঠে এসেছে পুলিশের। ঘর থেকে মুর্তি নিয়ে এসে ভাঙা হচ্ছিল এমন ভিডিও ফুটেজও মিলেছে। গােটা ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টিকারী দশজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে পুলিশের।
এদের মধ্যে যেমন রয়েছে কলকাতার বাসিন্দা তেমনই বর্ধমান, চুচুড়া, গলসির লােকও রয়েছে বলে জানাল এক তদন্তকারী আধিকারিক। বর্তমানে সিটের মূল কাজ যত দ্রুত সম্ভব মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করা। এমন গর্হিত অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের সন্ধানে তদন্তকারী দল ইতিমধ্যে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।