• facebook
  • twitter
Thursday, 19 December, 2024

‘কলকাতা ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী’, বড়দিন উৎসবের উদ্বোধনে সম্প্রীতির বার্তা মমতার

উৎসবকে কেন্দ্র করে এদিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে যান চলাচল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

নিজস্ব চিত্র

বড়দিন মানেই পার্কস্ট্রিট, ইতিমধ্যেই আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে শহরের এই অন্যতম জায়গা। বৃহস্পতিবার অ্যালেন পার্কে কলকাতার বড়দিন উৎসবের শুভ উদ্বোধন করে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি কলকাতাকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানীর আখ্যা দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যালেন পার্কের বড়দিন কার্নিভাল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। কলকাতার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের উদ্যোগে প্রতিবছর অ্যালেন পার্কে বড়দিনের এই উৎসব আয়োজিত হয়। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ধরণের অ‌্যাংলো-ইন্ডিয়ান খাবার এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শহরের রাজপথেই।

উৎসবকে কেন্দ্র করে এদিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে যান চলাচল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। মানুষ কেবল হাঁটা পথে এই বিপুল সাজসজ্জা এবং খাবারের আনন্দ উপভোগ করবেন। অন্যান্য উৎসবের মতোই বড়দিন উপলক্ষেও গান বেঁধে যীশু খ্রিষ্টের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু, আমাদের প্রার্থনা এই শুধু’ শীর্ষক মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিশেষ গানটি এদিন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন গাইলেও সেই সঙ্গে কণ্ঠ মেলান মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক উৎসবেই গান লিখি। তাই বড়দিনেও শান্তির বার্তা দিয়ে ছোট্ট করে একটা গান লিখেছি। সময় কম পেয়েছি। হাঁটতে হাঁটতেই পরশু দিন গান লিখে দিয়েছি। শ্রীরাধাকে দিয়ে একদিনের মধ্যে সুর করিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা হলো ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী, আমরা সকল ধর্মকে ভালোবাসি। আমি যীশু খ্রিষ্টের শান্তির বাণীতে বিশ্বাসী। আমরা এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেছি। এখানে আমাদের কোনও কৃতিত্ব নেই। আদতে বাংলার মানুষ সকল ধর্মাবলম্বীদের ভালোবাসে এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উৎসবে আমরা শামিল হতে জানি। বাংলা জুড়ে সকল জেলা বর্তমানে বড়দিনের আনন্দে মেতে ওঠে। কলকাতার রাজপথ থেকে অলিগলি অলোকসজ্জায় মুখরিত হয়। এটাই বাংলার আমজনতার উদ্যোগ এবং আশীর্বাদ।’

প্রসঙ্গত, অ্যালেন পার্কে ১৯ ডিসেম্বর থেকে বড়দিনের উৎসব শুরু হলেও ২০ ডিসেম্বর থাকছে শিল্পী রেমো ফার্নান্ডেজের গানের অনুষ্ঠান। খ্রিস্টান সম্প্রদায় ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করবে। ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর অ্যালেন পার্ক যান চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। ২৬ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এই চত্বরে। রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি ও পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে অ্যালেন পার্কে।