বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠল করোনা সংক্রান্ত মামলা। গত ৯ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে রাজ্যের কাছে করোনা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের দাখিল করা রিপোর্টে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে করোনা মহামারী নিয়ে আরও তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দিল।
করোনায় আক্রান্ত কত? মৃত্যুর সংখ্যা কত? কিভাবে কোথায় কতজনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা চলেছে? এইবিধ নানান তথ্য বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ আইসিএমআর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মানা উচিত রাজ্যের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২১ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন এবং পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগ তুলে ড. ফুয়াদ হালিম এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মানছে না রাজ্য। সেইসাথে করোনা আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেন মামলাকারী এবং তার আইনজীবী।
গত ৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি রাজ্যকে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছিলেন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। এদিন পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার ভিডিও শুনানি হয়।
রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ড. ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করেছেন। স্মরজিতবাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে করোনায় কেউ মারা গেলে তাঁর শেষকৃত্য প্রক্রিয়ায় কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে? বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি বেকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না দুর্গতদের কাছে। ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী ভিডিও কনফারেন্স শুনানি হবে।