‘ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে’, মেয়রের কড়া হুঁশিয়ারিতে কেইআইপি

ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (কেইআইপি)-এর কাজের অগ্রগতি নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠে এসেছে।কাউন্সিলরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কলকাতা পুরসভার মেয়র নিজেও উষ্মা প্রকাশ করেছেন অনেকবার। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর হয়রানির শেষ নেই বলে লাগাতার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজের ধরন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে বার বার। তাই এবার কেইআইপির কাজে গতি আনতে সোমবার কলকাতা পুরসভায় বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুরসভার সমস্ত আধিকারিক-সহ ‘কেইআইপি’র আধিকারিকেরা। এছাড়াও, যেসব এলাকায় কাজ হচ্ছে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বোরো চেয়ারম্যানরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানানা, ট্রান্স ২ -এর কাজ ২০১৯ সালেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কাজ কখনও ২০১৯ -এ শেষ হয়ে যাবে বলা হয়েছিল, কখনও ২০২২ শেষ হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনোটাই কার্যকর হয়নি। অপ্রাকৃতিক ভাবে আটকে গিয়েছে কাজ। তবে পুরসভার তরফে এদিনের বৈঠকে ‘কেইআইপি’কে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এবছরের ডিসেম্বর অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই সংস্থাকে ব্লাকলিস্টেড করা হবে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার তরফেই সব রাস্তা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস মেয়রের। এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘কেইআইপির অপেক্ষায় থাকবে না পুরসভা। ‘কেইআইপি’কে আলাদা সংস্থা করে ভুল হয়েছে। পুরসভা ও ‘কেইআইপি’র মধ্যে মধ্যস্থতা করে পরবর্তীতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবেন পি কে দুয়া।’

এদিনের বৈঠকে মেয়র একটি কমিটি তৈরী করে দিয়েছেন। যার মাথায় রয়েছেন পি কে দুয়া। মূলত টালিগঞ্জ এলাকায় ‘কেইআইপি’র প্রচুর কাজ করা বাকি আছে। কাজ হবে, ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে, জলের ব্যবস্থাপনায়। সময়ের মধ্যে না কাজ সম্পন্ন না হলে ‘ব্লাকলিস্টেড’ করা হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি মেয়রের।