ট্যাব কেলেঙ্কারির পর অনেকের ধারনা হয়েছিল, একমাত্র ট্যাবের টাকায় অসুরক্ষিত। এবার প্রতারণার শিকার হল কন্যাশ্রী প্রাপকরাও। মালদহের একাধিক পড়ুয়া কন্যাশ্রীর টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পোর্টালে নাম থাকলেও টাকা চলে গিয়েছে প্রতারকের হাতে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মালদহের এনায়েতপুরের স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, মালদহের এনায়েতপুর হাইস্কুলে কন্যাশ্রী প্রকল্পে পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তাদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা ঢুকলেও ছাত্রীরা একটি টাকাও পায়নি। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে মালদহের এই হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের দিকে। তিনি আবার এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউজ জামান এনায়েতপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, পূর্বে স্কুলের পড়ুয়াদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার ছিলেন সহকারী শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার। করোনা পরবর্তী সময়ে সেই দায়িত্ব পান বদিউজ। সম্প্রতি স্কুলের কিছু পড়ুয়া অভিযোগ করেছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্ত নেই। তখন কন্যাশ্রী পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। সেসময় বিষয়টি নজরে আসে।
লক্ষ্য করা যায়, ২০২০ সালে থেকেই এইসব পড়ুয়াদের নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২৫ হাজার করে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢুকেছে। অথচ পড়ুয়ারা সেই টাকা পায়নি। বিষয়টি জানতে পারার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রধান শিক্ষক। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার।