• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 September, 2024

আরজি কর কাণ্ডে সুর চড়ালেন কবীর সুমন

সমালোচকদের কটাক্ষ করে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন গায়ক কবীর সুমন। নিজের ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে তিনি আরজি কর কাণ্ডের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও, সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করা বিরুপ মন্তব্যকেও একহাত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিজের পোস্টে তিনি বিরোধী দল সিপিএম এবং বিজেপিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ‘উৎসবে ফিরুন’ মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমালোচকদের আক্রমণে বিদ্ধ করে লিখেছেন, ‘আমায় যাঁরা ঘৃণা করেন সেই বঙ্গবানরা মাননীয়া মমতাকে “চটিপিসি” “চটিবুড়ি” ইত্যাদি নামে ডেকে চলেছেন। এঁরা নাকি এক মহিলাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে আন্দোলনে নেমেছেন। এঁরাই আবার প্রায় সত্তর বছর বয়সী এক মহিলাকে এইভাবে অপমান করছেন।’ যদিও বিরোধী দলকে কটাক্ষ করে তিনি এও লিখেছেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে ভোটে হারিয়ে সরকার গঠন করার ক্ষমতা কারুরই নেই। সিপিএম উঠেই গিয়েছে বলা যায়। তাঁরা আছেন ফেসবুকে আর, মনে হচ্ছে, অভয়া-আন্দোলনের কোথাও কোথাও। কিন্তু ভোট হলে আবার তাঁরা শূণ্যে বিলীন হবেন বলেই অনেকে মনে করেন। আর বিজেপি ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে ক্রনিক আমাশায় ভোগা রুগীর মতো।’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তৃণমূল সুপ্রিমো সাংবাদিক বৈঠকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মন্তব্য করেন, ‘একমাস তো হল, এবার উৎসবে ফিরুন।’ কার্যত এই মন্তব্যের পর সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন কবীর সুমনও। তাঁর কথায়, ‘মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি সম্মান করি, কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক একটি উক্তির আমি বিরোধিতা করছি। “উৎসবে ফিরুন।” অভয়া” বা “তিলোত্তমার” ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে যে ব্যাপক আন্দোলন চলছে, মাননীয়া মমতা যদি তার খবর সম্যক রেখে থাকেন ( যা তিনি রাখেন বা তাঁর রাখা উচিত বলে আমার ধারণা) তাহলে ঐ উক্তিটি করা তাঁর একেবারেই উচিত হয়নি। এই দেশে আর কোন কোন নৃশংস কাণ্ড ঘটছে তার প্রসঙ্গ না টেনেও বলব আরজি করের ঘটনায় অনেকেই রুষ্ট, অনেকেই আন্দোলনে নেমেছেন।’

যদিও আরজি কর কাণ্ডের আন্দোলনকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই আন্দোলন এখন বিচিত্র রূপ ধারণ করেছে, করে চলেছে। গান লেখা, গান গাওয়া, কবিতা লেখা, বলা, শাঁখ বাজানো রাস্তায় হৈ হৈ করে উদ্দীপক গানের সঙ্গে নৃত্য করা রাস্তা জুড়ে ছবি আঁকা লেখা ইত্যাদি। সকলেই নিশ্চয়ই মনপ্রাণ দিয়ে করছেন সবকিছু। আন্দোলনমুখী কর্মকাণ্ড কোথাও কোথাও উৎসবের রূপ নিয়ে ফেলছে বললে বাড়িয়ে বলা হবে কি? কেউ কেউ আবার মহামতি লেনিনের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন যদিও কলকাতায় যে আন্দোলন আমি দেখছি তাতে নাগরিক উচ্চমধ্যবিত্ত হিন্দুদেরই দেখছি বেশি, আর লেনিন বেশি চিন্তিত ছিলেন শ্রমজীবীদের নিয়ে। কেউ কেউ এই আর জি কর আন্দোলনকে লেনিনিস্ট বিপ্লব পর্যন্ত বলে ফেলেছেন।’