নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে আর দিন ছয়েক পর থেকেই। প্রায় কুড়ি মাস পরে খুলবে কলেজ ক্যাম্পাসও। কিন্তু কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে ক্যাম্পাস খোলার মুখে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কোভিড সংক্রমণ রাজ্যে এখনও কমেনি। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের অফলাইন ক্লাস করতে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অনেক অভিভাবকই।
এখনই সব ক্লাসের সব পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে থাকছে না কলেজ কর্তৃপক্ষও । অনেক ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীকেই অফলাইনে কোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে দেশ জুড়ে করোনার টিকাকরণ চলছে। কিন্তু এখনও অপ্রাপ্তবয়স্কদের কারও টিকাকরণ হয়নি। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
কলেজে সদ্য ভর্তি হয়েছেন যাঁরা তাঁদের অনেকেই এখনও ১৮ বছরের গণ্ডি পেরোননি। তাই এই সমস্ত নতুন ব্যাচের পড়ুয়াদের ক্লাস করতে ডাকা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে শহরের কলেজগুলিতে। কলেজে সদ্য ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই এখনও টিকা পাননি। তাঁদের বয়স ১৭ কি ১৮।
এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ দেখেশুনে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে। অর্থাৎ ১৬ তারিখ থেকেই তাদের কলেজে অফলাইন ক্লাস করতে নাও হতে পারে। কলেজ আর স্কুল আবার খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও গাইডলাইন দেওয়া হয়নি।
কলেজে কীভাবে ক্লাস হবে, কতজন পড়ুয়াকে ঢাকা হবে ক্লাসে, সবটাই নির্ভর করছে কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর। অনেকেই মনে করছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি যাঁদের, তাঁদের ক্যাম্পাসে অফলাইন ক্লাস করতে রোকা মানেই বিপদের মধ্যে ঠেলে দেওয়া ।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি ভ্যাকসিন না নিলে তার কোভিড সংক্রমণের যতটা সম্ভাবনা থাকে তার চেয়ে ছোটদের সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কম। ছোটদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি থাকে তাদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাবে। হয়তো খুব হালকা সংক্রমণ হতে পারে।