নিজেদের দাবির সমর্থনে ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহে’ জুনিয়র ডাক্তাররা, নেওয়া হবে মতামতও

এবার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে আয়োজিত বৈঠকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পরে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষ এবার ১০ দফা দাবির বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিজেদের দাবির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতেই জুনিয়র ডাক্তাররা গণস্বাক্ষর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। এক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘অনেক সাধারণ মানুষ ধর্মতলায় এলেও সরাসরি প্রতিবাদী বা অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। কিন্তু আমরা তাঁদের কথা শুনতে চাই। তাই সাধারণ মানুষ যাঁরা আসছেন, তাঁরা তাঁদের মতামত আমাদের জানিয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন।’

প্রাথমিক অবস্থায় স্থির হয়েছে, ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে চারটি গাড়ি চারটি প্রান্তে যাবে। উল্টোডাঙা, সোদপুর, শ্যামবাজার ও গড়িয়াহাট। এই চারটি জায়গায় গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবেন আন্দোলনকারীরা।  জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কলকাতাতেও এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা গণস্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য বেরোবেন বলে জানানো হয়েছে।


উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও একজন চিকিৎসক অনশনে বসেছেন। অনশন করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। সর্বপ্রথম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আরজি করের চিকিৎসক অনিকেত মাহাত। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই আবহে প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করে নতুন কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।