ফের রাজ্যজুড়ে পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

পুজোর আবহে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি জুনিয়র ডাক্তারদের। ৮ ঘণ্টার জিবি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ সামনে আনছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ঘটনার ৫০ দিন পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিসিটিভি বসেছে প্রয়োজনের মাত্র ২৬ শতাংশ। সিসিটিভিকে সরকার নিরাপত্তার মূল নিদর্শন বলে প্রচার করতে চাইছে। ৫২ দিন পেরিয়ে গেলেও নিরাপত্তার নামে কী পাওয়া গেল? রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত, দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। ক্যাম্পাসে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ না হওয়ায় কর্মবিরতি চলবে।

দ্রুত ন্যায়বিচার, দুর্নীতির দায় নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের। মোট ১০ দফা দাবি পেশ করল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালে এখনও সক্রিয় থ্রেট সিন্ডিকেট। ১০ দফা দাবিগুলি হল: দীর্ঘসূত্রিতায় বিভ্রান্ত না করে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে অভয়ার ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা। হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো হোক। দ্রুত সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে। থ্রেট কালচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সব হাসপাতালে ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটর চালু করতে হবে। WBMCও WBHRB-র অভ্যন্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ আছে তার সাপেক্ষে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা। হাসপাতালগুলিতে থাকা শূন্যপদ পূরণ করা হোক। সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি এবং প্যানিং বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পরও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে বারংবার বিঘ্নিত হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর শহর কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালেও জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহ হওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই সুরক্ষা বলয়ের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।