এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। দ্রৌপদী মুর্মুকে ইমেল করে সাহায্য চাইলেন তাঁরা। এই ইমেলের প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জেপি নাড্ডাকেও পাঠানো হয়েছে। ইমেল পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও।
৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেননি। এই আবহে পর পর তিন দিন বৈঠক করতে চেয়ে আন্দোলকারীদের নবান্নে আহ্বান জানানো হয়েছিল। তিনদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করেছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের আরোপ করা শর্তের জেরেই ভেস্তে গিয়েছে এদিনের বৈঠক। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং সহ মোট ৪ টি শর্ত রেখেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যান্য শর্তগুলি মেনে নেওয়া হলেও বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের শর্ত রাজ্যের তরফে মানা হয়নি। এই কারণে নবান্নের গেট পর্যন্ত এসেও সভাঘরে না ঢুকে ফের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ফেরে ৩২ জন জুনিয়র ডাক্তারের প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রং বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ সেটা বুঝবেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের উপর ভরসা রেখেই আমরা নবান্নে গিয়েছিলাম। গত ৩৩ দিন ধরে আমরা রাস্তায়। দরকারে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় পড়ে থাকব। কিন্তু বিচার আমাদের চাই। আমরা চেয়ার চাই না।’ নবান্ন থেকে তাঁরা ফের স্বাস্থ্য ভবনের সামনের অবস্থান মঞ্চে ফিরে আসেন। তাঁরা জানান, অবস্থান চলবে।
এই পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রপতির সাহায্য চাইলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেইল করা হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও তরফেই কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।