প্রসূতি মৃত্যুকাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৭ জুনিয়র ডাক্তার-সহ ১৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ, অপারেশনের সময় সিনিয়র ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন না। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, সিনিয়র চিকিৎসকদের নজরদারিতেই প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করা হয়। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।
চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনেই অপারেশন করা হয়েছে। সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত যেন আরেকবার বিবেচনা করা হয়। পিজিটিদের পাঠানো এই চিঠি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ। এদিকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি করেছে আইএমএ রাজ্য শাখা। সাসপেনশনের প্রতিবাদে হাসপাতালে অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই স্ত্রীরোগ বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা অধ্যক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। অধ্যক্ষ তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়েছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা উদ্বেগে রয়েছেন। বিষয়টি অধ্যক্ষ স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছেন।
সপ্তাহখানেক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। আরও চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। অভিযোগ, নিম্নমানের স্যালাইন থেকে বিপত্তি ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে মেদিনীপুরে চিকিৎসকদের গাফিলতির বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে আরও একজনকে সাসপেন্ড করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হবে।