• facebook
  • twitter
Saturday, 19 October, 2024

জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন: মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি না থাকা নিয়ে প্রশ্ন, পাল্টা কুণাল

তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিবকে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন- আন্দোলনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠকে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় বলেই সূত্রের খবর। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও পর্যালোচনা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।অন্যদিকে, শুক্রবার জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের ধর্না মঞ্চে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনশনরত চিকিৎসকরা।

তাঁদের বক্তব্য, ”মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপূজায় ব্যস্ত থাকলেও, অনশনের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও আমাদের দেখতে তিনি একবারও আসেননি। আমাদের মাতৃসত্তার কথা বলা মুখ্যমন্ত্রী কেন আমাদের খোঁজ নিতে এলেন না?”
এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কড়া সুরে বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে তাঁদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছেছিলেন। তিনি একাধিকবার কালীঘাট ও নবান্নে বৈঠক করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে। জ্যোতিবাবুর মতো পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি তিনি।”

কুণালের মন্তব্যে উঠে আসে, ”অনশনরত চিকিৎসকদের অভিযোগ যে মুখ্যমন্ত্রী একবারও আসেননি, তা যুক্তিসঙ্গত নয়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে।”

তৃণমূল নেতার দাবি, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পেছনে কিছু রাজনৈতিক প্ররোচনা কাজ করছে এবং এই প্ররোচনাই আন্দোলনকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ”টানা অনশন করে নিজেদের শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া উচিত নয়। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে, রাজ্যও দ্রুত পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ করছে। তাই জেদ করে আন্দোলন চালানো অর্থহীন।”

এদিকে, কুণালের বক্তব্যের জবাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রশ্ন তোলেন, ”তবে কি তিনি জ্যোতি বসুর সময়ের মতো আন্দোলন দমনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন?” তাঁরা আরও দাবি করেন, ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে তাঁদের অনশন মঞ্চে হামলা চালানো হয়েছিল, কিন্তু সেই সময় পুলিশ সাহায্য করতে আসেনি।