• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

কিঞ্জলের বিরুদ্ধে ধর্ষকদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলল জুনিয়র ডাক্তারদের পাল্টা সংগঠন

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল কিঞ্জল নন্দদের বিরুদ্ধে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল কিঞ্জল নন্দদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলল জুনিয়র ডাক্তারদের নবগঠিত সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি কিঞ্জল নন্দের শ্বশুরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি তুলে সরব হন তাঁরা।

সোমবার আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত থেকে বের করার সময় তাঁকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ”আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এটা কি ন্যায়? ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়? আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমার নামে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি ধর্ষণ–খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমাকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হল। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে।” সঞ্জয়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ একটি ভিডিও বার্তায় প্রশ্ন তোলেন, ”কে তাঁকে ফাঁসাল? কেন ফাঁসাল? এর উদ্দেশ্য কী?” গোটা বিষয়টি নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত করা উচিত বলে দাবি করেন কিঞ্জল। তাঁর কথায়, ”প্রায় তিন মাস হতে চলল। এই ঘটনায় এক জন ছাড়া কেউ গ্রেপ্তার হননি। আমরা প্রত্যেকেই জানি, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তা কোনও এক জনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তা হলে সিবিআই এত দিন ধরে কী করছে? কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না?”

কিঞ্জলের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এই সংগঠনের পক্ষে অতনু বিশ্বাস বলেন, ”আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের নেতা কিঞ্জল নন্দকে প্রশ্ন করতে চাই যে, তাঁরা যে এত দিন মানুষকে বলে এসেছেন মানুষ কার পক্ষে— ধর্ষকের পক্ষে না নির্যাতিতার জন্য বিচারের পক্ষে, তা হলে সেই সংগঠনের নেতারা এখন ধর্ষকদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন কেন? ডব্লিউবিজেডিএফ আবারও নিজেদের তঞ্চকতা এবং দ্বিচারিতা প্রকাশ করল। তীব্র ধিক্কার জানাই।” পাশাপাশি অতনু প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে কথা বলা কি পরোক্ষভাবে ধর্ষণকেই সমর্থন করা নয়? এরপরই কিঞ্জলকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তাঁর দাবি, কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁর মুখে ধর্ষকদের সমর্থন শুনতে পাওয়া আশ্চর্যের নয়।