আইনি জটে থমকে গিয়েছিল জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্প। এতদিনে সেই জট কাটল। সেনাবাহিনীর আপত্তি নেই, বলে হাইকোর্টে জানিয়ে দেওয়া হল।
এবার রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেত মিললেই জোর কদমে কাজ শুরু হবে এই মেট্রো প্রকল্পের। শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
ভিএনএলের সঙ্গে বৈঠকের পরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল সেনাবাহিনী। ফলে টালি নালা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মাটির নিচের কাজ এবার করতে পারবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
প্রসঙ্গত, জোর দয়ে হয়েছিল জোকা-বিবাদি বাগ করিডরের মেট্রো প্রকল্পের কাজ। তবে এই করিডরের কাজ মোমিনপুর পর্যন্ত অগ্রসর হলেও বাকি কাজ আটকে গিয়েছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আপত্তির কারণে প্রস্তাবিত এই এলাকাটা যেহেতু ভারতীয় প্রতিরক্ষা সেহেতু মন্ত্রকের এই আওতায় পড়ে।
এলাকার নিচ দিয়ে বা ওপর দিয়ে কোনো রকম নির্মাণ কাজ করার ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল। এতদিন পর সেই জট কাটল পুরোপুরি।
সেনার আপত্তি না থাকায় কাজের গতি বাড়বে বলে আশা করা যায়। কাজ জন্য নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টও। এখন শুধু অপেক্ষা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অনুমোদন।
সেই অনুমোদন মিলে গেলেই শুরু হয়ে যাবে জোকা বিবাদী বাগ প্রকল্পের থমকে যাওয়া কাজ। অন্যদিকে, গড়িয়া বিমানবন্দর করিডরের আটকে থাকা কাজের জট কেটে গেছে।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আটকে থাকা এই করিডরের কাজের জট মিটেছে সল্টলেকের সেক্টর ৫-এর মহিষাবাথান এলাকার ২২টি পরিবারকে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়ে ছিল গড়িয়া-বিমানবন্দর করিডরের মেট্রো প্রকল্পে।
তবে ওই ২২টি পরিবারকে অন্য জায়গায় থাকার জমি ও অন্যান্য ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করার পরেই সমস্যার নিরসন ঘটেছিল।